ভোট পরবর্তী রাজ্য সফরে এসেই বিস্ফোরক নাড্ডা, মনে করালেন দেশ ভাগের সময়ের কথা
মঙ্গলবার পশ্চিমবাংলায় নির্বাচন পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদে দু’দিনের রাজ্য সফরে এসেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা
একুশের নির্বাচনের ফল প্রকাশেরে পরেই পশ্চিবঙ্গের একাধিক জায়গা থেকে হিংসার খবর আসতে থাকে। যেখানে যে দল জয়ী হয়েছে কার্যত সেখানেই বিরোধী দলের কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে। বিজেপির অভিযোগ, তাদের একাধিক কর্মীরা তৃণমূলের সন্ত্রাসের শিকার। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, কোচবিহার সহ একাধিক জায়গায় তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত বিজেপির হাতে।
মঙ্গলবার পশ্চিমবাংলায় নির্বাচন পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদে দু’দিনের রাজ্য সফরে এসেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
এদিন বিমানবন্দরে নেমেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির বিস্ফোরক উক্তি, দেশ ভাগের সময় তিনি যে ধরনের হিংসার ঘটনা শুনেছিলেন, স্বাধীন ভারতে নির্বাচনের ফলাফলের শেষে একই রকম হিংসার ঘটনা তিনি এই প্রথম প্রত্যক্ষ করছেন।
তিনি এদিন আরও বলেন, পশ্চিবঙ্গে আমাদের কর্মীদের উপর যে ধরনের অত্যাচার হচ্ছে তার প্রতিবাদে এই কঠিন সময়ে কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে বিজেপি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
পাশাপাশি তিনি এও বলেন, এই আদর্শগত লড়াই লড়ার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। ঘাসফিল শিবিরকে তাঁর তোপ, তৃণমূলের এই অসহিষ্ণু আচরণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তাঁরা প্রস্তুত। তিনি জানান, ২৪ পরিগনা যাবেন, এবং তারপর বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে যাবেন।
মঙ্গলবার রাজ্য সফরের প্রথম দিনে সোনার পুরের গোপালনগরে যান নাড্ডা। সেখানে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন ।
এরপর তিনি বেলেঘাটা যান। সেখানে মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। মৃত কর্মীর বাড়ির লোকের দাবি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অভিজিৎকে খুন করেছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
জেপি নাড্ডার সঙ্গে এদিন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা এবং সাংসদ লকেট চ্যাটার্জিও আক্রান্তদের বাড়িতে যান।
Comments are closed.