‘মনে একরাশ আক্ষেপ নিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিষেক দা,’ অভিষেক চ্যাটার্জীর মৃত্যুর পর দুঃখ প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী চুমকি চৌধুরী, মুখ খুললেন চুমকি
সম্প্রতি কয়েকদিন আগেই আমরা আমাদের মাঝখান থেকে হারিয়েছি টলিউডের জনপ্রিয় বর্ষীয়ান অভিনেতা অভিষেক চ্যাটার্জী কে। অভিনেতা কে হারানোর শোক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি টলিপাড়া। মাত্র ৫৭ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাঝরাতে প্রাণ হারান তিনি। আর তার এই অকাল প্রয়াণে মেনে নিতে পারছেন না তার সহকর্মীরা। দীর্ঘ চার শতক ধরে টলিউডে একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়ে গিয়েছেন দর্শকদের। তারপর দীর্ঘ বেশ কয়েকবছর তাকে আর টেলিভিশনের বড় পর্দায় দেখা যায়নি। কামব্যাক করেছিলেন ছোটপর্দার হাত ধরে। স্টার জলসার বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন অভিনেতা। সম্প্রতি অভিষেক চ্যাটার্জী মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন অভিনেত্রী চুমকি চৌধুরী।
একসময় টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দের মধ্যে অন্যতম ছিলেন চুমকি চৌধুরী। তবে সময়ের সাথে সাথে নিজেকে বড় পর্দা থেকে সরিয়ে নেন তিনি। তাকে আর কোন সিনেমায় দেখা যায়নি পরবর্তী কালে। শুধুমাত্র একজনের সহ-অভিনেত্রী নয় অভিষেক চ্যাটার্জী সঙ্গে ছিল পারিবারিক সম্পর্ক। অঞ্জন চৌধুরীর প্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে অভিষেক চ্যাটার্জী ছিল অন্যতম। আর চুমকি এবং রিনার সঙ্গে অভিষেকের ছিল দাদা এবং বোনের সম্পর্ক।
চুমকি চৌধুরীর বাড়িতেও যাতায়াত ছিল অভিনেতার। তবে সময়ের সাথে সাথে সে যাতায়াত টাও কমে যায়। শেষ দেখা হয়েছিল ছয় মাস আগে একটি রক্তদান শিবিরের। চন্দন নাগের আয়োজিত একটি রক্তদান শিবির বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুজনে। চুমকি চৌধুরী জানান “রক্তদান শিবির শেষে কর্তৃপক্ষ তরফ থেকে আমাদের দুজনকে পিতলের হাড়ি উপহার দেয়া হয়েছিল সেটা পেয়ে দারুন খুশি হয়েছিলেন অভিষেক দা। আমাকে এসে বলেছিলেন এই হাড়ি গুলোর জন্যই কিন্তু এখানে আসা। কথায় কথায় আমি বলেছিলাম এত মিষ্টি কিন্তু খেওনা মোটা হয়ে যাচ্ছ, তার উত্তরে অভিষেক দা বলেছিলেন আর কি হবে সেই তো বাবা কাকার চরিত্রই পাব এখন শুধু বেঁচে আছি আমার মেয়েটার জন্য।”
শেষে অভিষেক চ্যাটার্জিকে আমরা প্রত্যেকেই স্টার জলসার মোহর এবং খড়কুটো ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখতে পেয়েছি। মৃত্যুর আগের দিন শুটিং ফ্লোরে শুটিং করছিলেন তিনি। বারবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন শুটিং ফ্লোরে জানা যায় সহকর্মীদের কাছ থেকে। কিন্তু তবুও নিজের শরীরের প্রতি এত টুকু যত্নশীল ছিলেন অভিনেতা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা হলেই তিনি সোজা না করে দিতেন। আর এই অবহেলার জন্যই আজ না ফেরার দেশে চলে গেলেন সকলের প্রিয় অভিষেক চ্যাটার্জী।
Comments are closed.