এতকাল ‘অন্ধকারেই’ ছিল দ্রৌপদী মুর্মুর গ্রাম, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নাম ঘোষণার পরেই ‘তড়িৎ গতিতে’ আসছে বিদ্যুৎ
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার উপরবেদা গ্রাম। রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর পৈতৃক গ্রাম। এনডিএ জোট দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণা করার পর থেকেই তাঁর পৈতৃক গ্রাম নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। আর তাতেই জানা যায়, স্বাধীনতার এত বছর পরেও উপরবেদা গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। খবর প্রকাশ্যে আসতেই স্বাভাবিক কারণেই অস্বস্তিতে পড়েছে ওড়িশা সরকার। বিরোধীরা কটাক্ষ করেছে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়েও। এই অবস্থায় উপরবেদা গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা সরকার। যতই হোক, রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থীর গ্রাম বলে কথা।
জানা গিয়েছে দ্রৌপদী মুর্মু এখন আর ওই গ্রামে থাকেন না। বেশ কয়েক দশক আগেই উপরবেদা গ্রাম থেকে ২০ কিমি দূরে পুরশহরে রায়রংপুরে চলে এসেছেন তিনি। এখন তিনি সেখানকারই স্থায়ী বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, টাটা পাওয়ার নর্থ ওড়িশা ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের আধিকারিকরা উপরবেদা গ্রামে বিদ্যুৎ আনার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই গ্রামে বিদ্যুতিক খুঁটি, ট্রান্সফরমার ইত্যাদি পৌঁছে গিয়েছে। কর্মীরাও মাটি খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে দিয়েছে। সব ঠিক থাকলে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ‘আলোর’ মুখ দেখবে উপরবেদা।
জানা গিয়েছে উপরবেদা গ্রামে দুটি অংশ রয়েছে। ‘বাদশাহি’ নামে যে অংশ রয়েছে তাতে বিদ্যুৎ রয়েছে। কিন্তু ডংগুরসাহিতে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। এই অংশেই দ্রৌপদী মুর্মুর ভাগ্নে বিরাঞ্চি নারায়ণ টুডু তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন। দৌপদী মুর্মুর ভাগ্নের অভিযোগ, গ্রামে বিদ্যুৎ-এর জন্য একাধিকবার আবেদন করা হলেও কেউ কর্নপাত করেননি। তবে এবারে বিদ্যুৎ আসায় তাঁরা খুশি বলে জানিয়েছেন। যদিও দৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী হওয়ার আগে দীর্ঘদিন ওড়িশা সরকারের মন্ত্রী ছিলেন, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপালও তিনি। তা সত্ত্বেও তাঁর গ্রামই কেন ‘অন্ধকারে’ থেকে গেল, তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
Comments are closed.