সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর, অশ্লীল, বর্ণ বিদ্বেষী মূলক মন্তব্যের জের, নেট নাগরিকদের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখায় অভিযোগ দায়ের করলেন বাংলা সিরিয়ালের অভিনেতা শ্রুতি দাস।
অভিনেতারা বেশিরভাগ সময় নেটিজেনদের একাংশের ট্রোলিং-এর শিকার হয়ে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এটি খুবই পরিচিত একটি ঘটনা। অনেক তারকাই সপাটে ট্রোলের জবাব দিয়ে থাকেন। আবার অনেকেই তা এড়িয়ে যান। কিন্তু কখনও কখনও সেই সমস্ত ট্রোলিং, কটাক্ষ শালীনতার সীমা পেরিয়ে যায়।
অভিনেতা শ্রুতির ক্ষেত্রেও তেমনই ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কলকাতা পুলিশকে ট্যাগ করার পাশাপাশি সাইবার শাখায় ইমেল মারফত তিনি অভিযোগও জানিয়েছেন।
গায়ের রং নিয়ে এর আগেও শ্রুতিকে নেটনাগরিকদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে। তিনি জানান, কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর মন্তব্য এমনই অপমানজনক, যে তিনি বাধ্য হন পুলিশের দ্বারস্থ হতে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তর মন্তব্যের স্ক্রিন শট সমেত তিনি পুলিশকে ইমেল মারফত অভিযোগ জানিয়েছেন।
২০১৯ সালে ‘ত্রিনয়নি’ ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে শ্রুতির আত্মপ্রকাশ। বর্তমানে ‘দেশের মাটি’ মেগা সিরিয়ালে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন।
এদিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আমার কাছের মানুষেরা সবসময় বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের মন্তব্য এড়িয়ে চলতে। আমিও এতদিন তাই করে এসেছে। কিন্তু বর্তমানে আমার প্রথম সিরিয়ালের পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়ায় ধারাবাহিক ভাবে আমায় আক্রমণ করে গিয়েছেন। তাঁর আমার অভিনয়ের যোগ্যতা, গায়ের রং নিয়ে নানারকম মন্তব্য করেছেন। এদের মধ্যে আমার পরিচিতও রয়েছেন। পুরো ঘটনাটাই আমার কাছে অপমানজনক, এবং অস্বস্তিকর মনে হয়েছে। যার জেরেই কলকাতা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অভিনেতা তথা একুশের নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী পার্ণো মিত্র জানান, শ্রুতির ঘটনাটা প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক অভিনেতাকে নিজের গায়ের রং-এর জন্য কটূক্তির শিকার হতে হয়েছে। প্রথম প্রথম আমি যখন অভিনয় করতে আসি আমায়ও গায়ের রং-এর জন্য নানারকম কথা শুনতে হয়েছে। তারপরেই অভিনেতা বলেন, ভারতের মত একটি দেশে যেখানে বেশিরভাগ মানুষেরই গায়ের রং ততটা উজ্জ্বল নয়, সেখানে কীভাবে এখনও এই বিষয়টি নিয়ে এত আলোচনা হয় বুঝতে পারিনা। অভিনেতার কথায়, এখন এই ব্যাপারটা অনেকটা কমলেও সমাজ থেকে নির্মূল হয়ে যায়নি।
Comments are closed.