কেউ বলছেন আমিষ খাবার থেকে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। আবার একদল বিশেষজ্ঞের দাবি, তাপমাত্রা বাড়লে কমবে করোনার দাপট। এই দুটি মতকেই ‘মিথ’ বলে উড়িয়ে দিলেন এইমসের ডিরেক্টর ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর মতে, করোনাভাইরাস হল একরকম ইনফেকশন যা এক মানুষ থেকে অপর মানুষে ছড়াচ্ছে। এর সঙ্গে ডিম, মাংসের মতো আমিষ খাবার খাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। এইমসের ডিরেক্টর জানাচ্ছেন, সাধারণ স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য যে কোনও ধরনের মাংস ভালো করে ধুয়ে সুসিদ্ধ করে রান্না করলে নির্দ্বিধায় খাওয়া যাবে।
পাশাপাশি উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে করোনার প্রাবল্য কমবে বলে যে দাবি করছেন বিভিন্ন গবেষক, সেটাও উড়িয়ে দিয়েছেন ডাঃ গুলেরিয়া। তাঁর কথায়, এই ভাইরাসের প্রভাব তীব্র গরম থাকা সিঙ্গাপুরে যেমন থাকবে, ঠিক একইরকম থাকবে ঠান্ডার পরিবেশ থাকা ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে। তিনি আরও জানান, কোনও অঞ্চলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে থাকলে তবেই প্রতিবেশী বা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রামিত হতে পারে। তার আগে নয়।
লবঙ্গ বা অন্যান্য মশলা বা জরিবুটি খেয়েও করোনাভাইরাস তাড়ানো যাবে না। মদ খেলে করোনাভাইরাসের আশঙ্কা কমবে বলে যে গুজব রটেছে সেটাও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন এইমসের ডিরেক্টর।
করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কৃত না হওয়ায় কয়েকটি স্বাস্থ্যবিধি ভালো করে মেনে চলার কথা বলছেন ডাঃ গুলেরিয়া। যেমন, বারবার ভালো করে হাত ধুতে হবে। সাবান না থাকলে স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন এইমসের ডিরেক্টর। তাছাড়া, সাধারণ হাঁচি, সর্দি-কাশি হলেও চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়ার কথা জানান তিনি।
Comments are closed.