যাঁর বদলি ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত তুঙ্গে, চেনেন মুখ্যসচিব আলাপন ব্যানার্জিকে?
সাংবাদিক হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু। পরবর্তীকালে যোগ দেন সিভিল সার্ভিসে
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ কেন্দ্রের কমিবর্গ মন্ত্রক থেকে একটি চিঠি এসে পৌঁছায় নবান্নে। শীঘ্রই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয় রাজ্যের কাছে। সেই চিঠির জেরে ফের একবার তুঙ্গে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত। আর এই সংঘাতের একেবারে কেন্দ্রে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন ব্যানার্জি। তাঁর নাম ঘুরেফিরে আসছে সংবাদের শিরোনামে।
জন্ম মফস্বলে। ১৯৮৭ ব্যাচের এই দুঁদে আমলা নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তনী। স্কুলের পড়াশোনা শেষে ভর্তি হন প্রেসিডেন্সি কলেজে। সাংবাদিক হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু। পরবর্তীকালে যোগ দেন সিভিল সার্ভিসে।
চাকরিজীবনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল ছিলেন। শুরুতে মহকুমা শাসক ছিলেন। হাওড়া, সহ বেশকিছু জেলার জেলাশাসকেরও দায়িত্ব সামলেছেন। কলকাতা পুরসভার পুর কমিশনার ছিলেন আলাপন ব্যানার্জি।
মুখ্যসচিব হওয়ার আগে রাজ্য সরকারের একাধিক দফতরের সচিব ছিলেন আলাপন ব্যানার্জি। পরিবহণ, মাইক্রো-স্মল-মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ, শিল্প এবং বাণিজ্য, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সচিবের পদ সামলেছেন। এরপর স্বরাষ্ট্র দফতরের সচিব হন এবং বর্তমানে রাজ্যের মুখ্য সচিব।
রাজ্যের প্রশাসনিক মহলে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আমলা হিসেবেই তাঁর পরিচিতি। সম্প্রতি যশ বিধ্বস্ত দিঘা নতুন ভাবে সাজাতে সেই আলাপনেই আস্থা রেখেছেন মমতা।
যে কোনও প্রশাসনিক বৈঠকে বর্তমান মুখ্যসচিবের বাংলা শব্দ চয়ন, তার ব্যবহার এবং উচ্চারণ নজর কেড়েছে।
অভিজ্ঞ আমলার পাশাপাশি তাঁর একটি লেখক সত্ত্বাও আছে। লিখেছেন একাধিক বই, প্রবন্ধ। উল্লেখযোগ্য কাজ হিসেবে বলা যায় ম্যাকিয়াভেলির প্রিন্সের বঙ্গানুবাদ রাজপুরুষ তাঁর পাণ্ডিত্যের অনন্য উদাহরণ। ২০১৭ সালে ‘আমলার মন’ নামে একটি বই লেখেন আলাপন, যা বইপ্রেমীদের বিস্তর প্রশংসা কুড়িয়েছে। সম্প্রতি তাঁর ভাই তথা প্রয়াত সাংবাদিক অঞ্জন ব্যানার্জিকে নিয়ে দাদা আলাপনের স্মৃতিচারণা, সকলের মন ছুঁয়ে গিয়েছে।
Comments are closed.