চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে যাচ্ছে ভুটানের বন্ধ থাকা সব গেট। ভুটানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে একথা। করোনার জন্য দীর্ঘ আড়াই বছর বন্ধ ছিল ভারত ও ভুটানের মধ্যে সব গেট। এবার জানা যাচ্ছে খুলে যাচ্ছে সবকটি গেট। আর এরপরেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পর্যটনের ক্ষেত্রে লাভের মুখ দেখবে ভুটান। ভুটানের এই সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছে প্রতিবেশী দেশের বাণিজ্যিক মহল ও পর্যটন সংস্থাগুলি।
ভারত-ভুটান সীমান্তের মূল গেটট জয়গাঁ ও ফুন্টসোলিংয়ের মধ্যে। সেই গেট দিয়ে যাতায়াত করেন পর্যটকরা। আরও তিনটি গেট আছে আলিপুরদুয়ার জেলায়। তবে গেট খুলে গেলেও পর্্যটকদের জন্য একাধিক নিয়ম চালু করেছে ভুটান সরকার। আগত পর্যটকদের জন্য ডবল ডোজের ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট কিংবা কোভিড নেগেটিভের রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। এছাড়াও ভুটান ঢোকার পর পর্্যটকদের একদিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রথমেই পর্্যটকদের জন্য অবাধ যাতায়াত রাখতে রাজী নয় ভুটান সরকার। একদম প্রথমে শুরু বাণিজ্য। এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করা হবে পর্যটন ব্যবস্থাকে। কারণ পর্্যটন ব্যবস্থার ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল ভুটান সরকার।
কোভিডের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বাণিজ্য। মাথায় হাত পড়েছিল ভুটান সহ প্রতিবেশীদের দেশগুলির ব্যবসায়ীদের। পর্্যটন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়াতেও আর্থিক ভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল ভুটান সরকারকে। এরআগে ২০২০ সালে ভুটান পার্লামেন্টে একটি বিল আনে। সেখানে বলা হয়, ভুতানে যেতে গেলে ভারত, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের পর্যটকদের মাথা পিছু দৈনিক ১২০০ টাকা করে দিতে হবে।
Comments are closed.