আস্থানা সম্পর্কে বিরূপ অভিমত প্রত্যাহারের আর্জি নিয়ে আলোক ভার্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন সিভিসি প্রধান!

সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনার কে ভি চৌধুরি প্রাক্তন সিবিআই প্রধান অলোক ভার্মার সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ করেছিলেন, তিনি যেন সিবিআই-এর প্রাক্তন দ্বিতীয় শীর্ষ আধিকারিক রাকেশ আস্থানা সম্পর্কে তাঁর বিরূপ অভিমত প্রত্যাহার করে নেন। যাতে অ্যানুয়াল কনফিডেন্সিয়াল রিপোর্ট বা এসিআর-এ আস্থানা প্রসঙ্গে কোনও বিরূপ মন্তব্য করা না হয় সেই চেষ্টা করেছিলেন সিভিসি প্রধান কে ভি চৌধুরি। নিউজ পোর্টাল ‘দ্য ওয়্যার’ এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
সংবাদমাধ্যমটির দাবি, অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে সিভিসি’র তদন্ত চলাকালীন, সেই তদন্তে নজরদারির জন্য সুপ্রিম কোর্ট নিজেদের প্রতিনিধি হিসাবে যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ কে পট্টনায়ককে নিয়োগ করেছিল, তিনি জানিয়েছেন, সিভিসি প্রধান দিল্লির জনপথ রোডে অলোক ভার্মার বাসভবনে গিয়ে এই অনুরোধ করে বলেছিলেন, এই অনুরোধ রাখলে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। পট্টনায়কের দাবি, অলোক ভার্মাই তাঁর ও সিভিসি প্রধানের সেই বৈঠকের বিষয়ে তাঁকে জানিয়েছিলেন। জানা গেছে, অলোক ভর্মা যখন রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তার পরপরই এই অনুরোধ নিয়ে ভার্মার সঙ্গে দেখা করেছিলেন সিভিসি প্রধান। যদিও তাৎপর্যপূর্ণভাবে অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে সিভিসি যে তদন্ত রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছিল, যার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নিয়োগ কমিটি গত বৃহস্পতিবার অলোক ভার্মাকে সিবিআই প্রধানের পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়, সেই রিপোর্টে সিভিসি প্রধান তাঁর সঙ্গে অলোক ভার্মার এই সাক্ষাৎ ও সাক্ষাতের বিষয়ে কোনও কথাই উল্লেখ করেননি। অথচ রাকেশ আস্থানার আনা অভিযোগের ভিত্তিতেই অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে সিভিসি তদন্ত শুরু করেছিল। তাই এই বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পট্টনায়ক দাবি করেছেন, সিভিসি’র তদন্তে অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, এসিআর রিপোর্টে আস্থানা সম্পর্কে নিজের অভিমত জানাতে গিয়ে অলোক ভার্মা তাঁকে ডাউটফুল ইন্টিগ্রিটি হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। যা আস্থানার প্রমোশনের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে উঠতে পারতো। তাই সম্ভবত সেই বাধা দূর করারই অনুরোধ করতে গিয়েছিলেন সিভিসি প্রধান। এই খবর প্রকাশ্যে আসায় এখন সিভিসি’র বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Comments are closed.