পুপুর ষড়যন্ত্রে ইতিমধ্যেই পায়ে ভয়ানক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে ফড়িংয়ের! সামনে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ, এই ভাঙা পা নিয়ে আলতাফড়িং কি হতে পারবে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন?
বর্তমানের স্টার জলসার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক গুলির মধ্যে একটি হলো “আলতা ফড়িং”। প্রত্যেকদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় স্টার জলসা থেকে সম্প্রচারিত হয় এই ধারাবাহিকটি। বর্তমান সময়ে জনপ্রিয়তার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এই ধারাবাহিক। ৮.০ পেয়ে টিআরপি লিস্টে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এই ধারাবাহিক। অর্থাৎ বুঝাই যাচ্ছে যে ধারাবাহিক একটি জনপ্রিয় তাই বেশ ভালোই এগিয়ে রয়েছে অন্য অনেক ধারাবাহিকের থেকে।
এই ধারাবাহিকের গল্প শুরু হয়েছিল এক মা মেয়ের জীবনের লড়াই দিয়ে। যেখানে তার মা অতীতে একজন জিবন্যাস্টিসিয়ান ছিলেন। কিন্তু তখন তার জীবনের একটি দুর্ঘটনা চক্রে তাকে ঠকিয়ে জিবনাস্ট এর জগত থেকে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তাই তার মা চায়না যে তার মেয়েও একজন জিমন্যাস্টিসিয়ান হোক। তাই সে মেয়েকে সে জগত থেকে একেবারেই আলাদা একটা গণ্ডগ্রামে বড় করতে থাকে। তারপরেই এক শহরের ছেলের সাথে বিয়ে হয় ফড়িংয়ের। বর্তমানে এসে এই শ্বশুরবাড়িতে সকলের নয়নের মনি।
এখানে এসে জানতে পারে তার আসল পরিচয়। ফড়িং এর যার সাথে বিয়ে হয়েছে অর্থাৎ অভ্র তার কাকার শালা নির্মল হলেন ফড়িং এর আসল বাবা। কিন্তু মা বা মেয়ে কেউই এ বিষয়টি আর মেনে নিতে রাজি নন। এর সাথে ফড়িং এটাও জানতে পারে যে এই নির্মলই তার মাকে জিবনাস্ট তাড়িয়ে দিয়েছিল এমনকি ব্যক্তিগত জীবনে ও তার মাকে ঠকিয়েছিল। তাই সে রীতিমত ঘৃণা করে নির্মলকে। এদিকে নির্মলের স্ত্রীও জেনে যায় ফড়িংয়ের পরিচয় এর বিষয়ে। তাই সে রীতিমতো এখন ফড়িঙের মা আর ফড়িংয়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে বিভিন্ন রকমের ষড়যন্ত্র করছে।
বর্তমানে এই ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে যে ধারাবাহিকের এক খলনায়িকার ষড়যন্ত্রে ফড়িংয়ের পা ভেঙে গিয়েছে। আর সেই পা ভাঙ্গার জন্য রীতিমতো চিকিৎসা করছে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। কিন্তু নির্মলের স্ত্রী পুঁপু এই বিষয়টিকে কাজে লাগায়। আর ডাক্তারকে টাকা দিয়ে বলে যে সে যেন ফড়িংয়ের পায়ের ভুল চিকিৎসা করেন। ফুপুর কথামতো ডাক্তার ফড়িংয়ের পা ভুল ভাবে সেট করে যাতে সে আর কোনদিনও জিবনাসটিক করতে না পারে।
সম্প্রতি আলতা ফরিং ধারাবাহিকের একটি নতুন প্রোমো সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে পায়ের চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে ফড়িংয়ের। আর সে জিবনাসটিক করার জন্য রিং এ উঠছে। কিন্তু রেগে উঠে দাঁড়াতেও পারেনি ফড়িং। তার আগেই সেদিন থেকে পড়ে যায় এবং অপু সেটা দেখে আনন্দিত হয়। আর পুপুকে বলতে শোনা যায়, “ধন্যবাদ ডাক্তার বাবু ফড়িং এর পা টা ভুল সেট করার জন্য”। অন্যদিকে ফড়িংও নিজের জেদ আর কাজের প্রতি ভালোবাসা বজায় রেখে মনের জোরের সাথে বলে, “আমি হার মানবো না। এই ভাঙ্গা পা নিয়েই আমি ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ জিতবো।” এবার শুধু এটাই দেখার যে ধারাবাহীকে পরবর্তীকালে কি নতুন টুইস্ট আসতে চলেছে।
Comments are closed.