জন্মের পরেই বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ডাক্তারি পরিভাষায় যে রোগের নাম অস্ট্রিওজেনেসিস। আর যার ফলেই তাঁর কোমরের একাংশ অচল। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও দমে যাননি। হুইলচেয়ারেকে সঙ্গী করেই জীবন যুদ্ধ লড়ে যাচ্ছেন ফাতিমা আসলা। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে আজ তিনি একজন সফল চিকিৎসক। হুইল চেয়ারে বসেই হাজার হাজার রোগীর জীবন বাঁচাচ্ছেন তিনি।
কেরলের বাসিন্দা ফাতিমা। প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও কোনও দিন বিশেষ সুবিধার আবেদন করেননি। আর পাঁচজন সাধারণ ছত্রছাত্রীর মতোই ফাতিমাও সাধারণ স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন। কোনও বিশেষ স্কুলে ভর্তি হননি। দশম শ্রেণী পর্যন্ত মা স্কুলে পৌঁছে দিতেন। কিন্তু ক্লাস টেনের পরে তিন চাকার সাইকেল চালিয়ে নিজে নিজেই স্কুলে গিয়েছেন। শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও ছোট থেকে মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। স্কুলের পড়া শেষ করে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেই মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেন তিনি। এরপর কোট্টায়ামের এনএসএস কলেজ থেকে হোমিও মেডিসিন ও সার্জারিতে স্নাতক হন। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই চিকিৎসক হন ফাতিমা আসলা। বর্তমানে তিনি কেরলের অন্যতম সফল একজন চিকিৎসক।
২০২০ সালে শিল্পী ফিরজ নেদিয়াথের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ফাতিমা। স্বামীর কাছ থেকে বিয়েতে একটি হুইল চেয়ার উপহার পেয়েছেন তিনি। বর্তমানে চিকিৎসার পাশপাশি স্বামীর হাত ধরে সারা ভারতবর্ষ ঘুরে নিয়েছেন। ফাতিমার এই জীবন যুদ্ধ অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে হাজার হাজার তরুণ তরুণীকে।
Comments are closed.