রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা অনিল আম্বানীর

শেষ পর্যন্ত নিজের হাতে তৈরি সংস্থার শীর্ষ পদ থেকে পদত্যাগই করতে হল অনিল আম্বানীকে। বিপুল ঋণের ভারে ডুবে থাকা রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের ডিরেক্টর পদ থেকে শনিবার অনিল আম্বানী পদত্যাগ করেছেন বলে খবর।
শনিবার সংস্থার তরফে এই খবরের সত্যতাও নিশ্চিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রিলায়েন্সের তরফে। তবে অনিল একা নন, তাঁর পাশাপাশি সংস্থার ডিরেক্টর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন অন্য চার ডিরেক্টর ছায়া ভিরানি, মঞ্জরি ক্যাকার, সুরেশ রাঙ্গাচার এবং রায়না কারানি।
উল্লেখ্য, এর আগে সংস্থার ডিরেক্টর এবং মুখ্য আর্থিক আধিকারিক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন মনিকান্থন ভি। তবে অনিল আম্বানীদের এই  ইস্তফাপত্রগুলি অনুমোদনের জন্য ঋণদাতাদের কমিটির কাছে পেশ করা হয়েছে। যে এখনও গৃহীত হয়নি বলেই খবর।
দেশের টেলিকম বাজারে অনিলের দাদা মুকেশ আম্বানীর সংস্থা রিলায়েন্স জিও আসার পর থেকেই অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলির মতো খারাপ সময় শুরু হয় রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের। প্রতিযোগিতার বাজারে ক্রমেই ক্ষতির মুখে পড়ে এই সংস্থা। কমে যায় লাভের পরিমাণ। বাড়তে থাকে বকেয়া ঋণের বহর। গলা পর্যন্ত ঋণে জর্জরিত সংস্থাটি একসময় নিজেদের ওয়্যারলেস ব্যবসাও বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৭ সালের মার্চে শেষবার নিজেদের ঋণ সংক্রান্ত তথ্য জনসমক্ষে এনেছিল রিল কম। সে সময় সংস্থার ব্যাঙ্ক ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার।
বর্তমানে প্রায় অসহায় অবস্থা অনিল আম্বানীর এই সংস্থার। শোনা যাচ্ছে, রিল কমকে দেউলিয়া ঘোষণার প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বিক্রি করা হতে পারে সংস্থার নামে থাকা সম্পত্তি। শুক্রবার প্রকাশিত চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় আর্থিক ফলাফলের হিসেব বলছে, সংস্থার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার ১৪২ কোটি টাকা।
বিপুল এই ব্যবসায়িক ক্ষতির ফলে কার্যত দেউলিয়া অবস্থা রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের। এরপরই শনিবার সামনে এল অনিলের পদত্যাগের বিষয়টি।

 

Comments are closed.