জি বাংলার দাদাগিরির অনুষ্ঠান যারা নিয়মিত দেখেন তারা সকলেই অনির্বাণ নন্দীর সাথে পরিচিত। দাদাগিরির অনুষ্ঠানে এসে দক্ষতার সাথে প্রতিযোগিতায় লড়েছিলেন তিনি। বিজয়ীও হয়েছিলেন। খাদ্য রসিক এই ফুটবলপ্রেমিকের খাদ্য তালিকা শুনে চোখ কপালে তুলেছিলেন স্বয়ং সৌরভ গাঙ্গুলী।
প্রথমবার দাদাগিরিতে আসার পর তিনি তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তার সারল্য, ফুটবল প্রেম জায়গা করে নিয়েছিল আম বাঙালির মনে। তাই পরবর্তীকালে বহুবার তিনি এসেছিলেন দাদাগিরির মঞ্চে। সদা হাসিখুশি এই অনির্বাণ নন্দী চলে গেলেন। তার অকাল প্রয়াণে বাকরুদ্ধ অনেকেই।
ছোটবেলায় হারিয়েছিলেন বাবাকে। কিছু মাস আগে মারা যান মা। মায়ের চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি অনির্বাণ। তার ফেসবুক জুড়ে সে কথাও তিনি লিখেছেন বারবার। তা সত্ত্বেও তার সদা হাসিমুখ অবাক করে দিয়েছিল অনেককে। আদ্যপ্রান্ত মোহনবাগান সমর্থক অনির্বাণ নন্দী কিছু মাস আগে জটিল কিডনির অসুখের সম্মুখীন হন। অনির্বাণের নতুন করে কিডনি প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে পড়ে। এই বিশাল খরচের দায়ভার তিনি নিতে অক্ষম। তাই বারবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সবার কাছে সাহায্যের প্রার্থনাও করছিলেন তিনি। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে আসেন অনির্বাণকে সুস্থ করে তোলার লক্ষ্যে। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে চলে গেলেন তিনি।
দ্বাদশীর দিন হঠাৎ করেই নিজের বাড়িতে অসুস্থ বোধ করতে থাকেন অনির্বাণ। এরপরই তার মৃত্যু ঘটে। অনির্বাণ নন্দীর এই আকস্মিক প্রয়াণে বাকরুদ্ধ ফুটবলপ্রেমী থেকে সাধারণ মানুষ।
Comments are closed.