বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে যাঁরা পড়ুয়া নিগ্রহ করে, তাঁরা লজ্জার পাত্র, ছাত্রছাত্রীদের পাশে এবার অপর্ণা সেনও
দেশজুড়ে চলছে কেন্দ্রের নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ। আন্দোলনকারীদের হিংসার পথে না গিয়ে প্রতিবাদে মুখর হওয়ার আবেদন জানালেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী তথা চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন (Aparna Sen)। সেই সঙ্গে তিনি জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত পড়ুয়াদের পাশে থাকার আশ্বাসও দিলেন।
বিজেপি সরকারের নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সোমবার দুটি ট্যুইট করেন সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ঘরে বাইরে আজ’ ছবির পরিচালক। এদিন দুপুর ১২ টা ৫৫ মিনিটে একটি ট্যুইটে অপর্ণা লেখেন, দেওয়াল লিখন হয়ে গিয়েছে। সাভারকরের (বিনায়ক দামোদর সাভারকর) ভারত কিছুতেই মেনে নেবে না ভারতবাসী। সাতটি রাজ্য ইতিমধ্যেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছে। এরপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন অপর্ণা (Aparna Sen)। রবিবার দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ুয়াদের উপর আক্রমণের নিন্দা করে তিনি লেখেন, যে প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ুয়াদের নিগ্রহ করে, তারা লজ্জার পাত্র। অপর্ণার ঘোষণা, দেশের সমস্ত পড়ুয়ার পাশে দাঁড়াচ্ছি।
এই প্রসঙ্গে আরও একটি ট্যুইট করেন গণপিটুনির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দেওয়া অপর্ণা সেন। বেলা ১২ টা ৫৯ মিনিটে পোস্ট করা সেই ট্যুইটে তিনি লেখেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের বলছি, দয়া করে অহিংসার পথে আন্দোলন করুন। অহিংসার মাধ্যমে আমাদের প্রতিবাদ অনেক বেশি কার্যকর হবে। গান্ধীজির পথে হাঁটতে আন্দোলনকারীদের বার্তা দিয়েছেন অপর্ণা সেন।
দেশে গণপিটুনি ও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে অন্যান্য বিশিষ্টজনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দেওয়া হোক বা কলকাতায় জুনিয়র ডাক্তারদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদ, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুতে নিজের মতো করে বার্তা দিয়েছেন অপর্ণা। কয়েকদিন আগে হায়দরাবাদে ধর্ষণ এবং বীভৎস খুনের ঘটনার পর অপরাধীদের এনকাউন্টারেরও বিরোধিতা করেন তিনি।
রবিবারই একটি ট্যুইটে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কড়া সমালোচনা করে অপর্ণা লেখেন, নোটবন্দি, অর্থনৈতিক মন্দা, সর্বোচ্চ বেকারত্ব, কাশ্মীর, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, অসমের পরিস্থিতি, এনআরসি নিয়ে দেশজুড়ে দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপর হামলা- ভারত ক্রমশ বিদীর্ণ ও রক্তাক্ত হচ্ছে।
Comments are closed.