আংশিক লকডাউনে বাইক ট্যাক্সি থেকে শুরু করে অন্যান্য পরিবহনে আকাশছোঁয়া ভাড়ায় নাজেহাল অফিস যাত্রীরা।
আর পাঁচটা সাধারণ দিনে ভবানীপুর থেকে উল্টোডাঙ্গা বাইক ট্যাক্সিগুলিতে যা ভাড়া নেয় লকডাউনে কার্যত তাঁর দ্বিগুন ভাড়া নিচ্ছে। এক অফিস যাত্রী জানান, বৃহস্পতিবার বাইক ট্যাক্সি করে তিনি ভবানীপুর থেকে উল্টোডাঙ্গা এসেছেন ৩০০ টাকা ভাড়ায়। বেহালা থেকে সেক্টর ফাইভ ভাড়া ৭০০ টাকা। স্বাভাবিকের তুলনায় যা বহুগুণ বেশি। চাকরি বাঁচাতে বেশি ভাড়া দিয়েই অফিস আসতে হচ্ছে যাত্রীদের।
যাত্রীদের অভিযোগ, গণ পরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে বাইক ট্যাক্সির অ্যাপগুলি অস্বাভাবিক ভাড়া বৃদ্ধি করেছে।
ফরেন এক্সচেঞ্জ অফিসে কর্মরতা অনিতা সিনহা জানান, এই লকডাউনে স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ছয়গুন বেশি ভাড়া দিয়ে আমাদের অফিসে যাতায়াত করতে হচ্ছে । অনিতার কথায়, এই লকডাউনে অফিসে যাওয়া আসা রীতিমত বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে।
আরেক প্রাইভেট সেক্টরের কর্মী গৌতম দাশগুপ্ত বলেন, বাইক ট্যাক্সির চালকরা যে এই বেশি ভাড়া নিচ্ছে এমনটা নয়। অ্যাপগুলি পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করছে। মে মাসের আগে পর্যন্ত বাইক ট্যাক্সি করে অফিস যাতায়াত করতে যেখানে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা খরচ হত, এখন সেখানে ৩৩০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে আমায়।
একটি বাইকঅ্যাপ সংস্থার কর্মচারীর সাফাই, পেট্রোলের দাম বাড়ার জেরেই ভাড়া বৃদ্ধি করতে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি এই অস্বাভাবিক ভাড়া বৃদ্ধি মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। অনেকেই বাধ্য হয়ে অফিস আসছেন চাকরী বাঁচাতে। কারণ এখন এমন একটা পরিস্থিতি যেকোনও মুহূর্তে কারোর না কারোর চাকরি চলে যেতে পারে।
বাইক ট্যাক্সির পাশাপাশি একই অবস্থা শহরের অটোগুলিরও। জিরুরী ভিত্তিতে রোগী নিয়ে যাওয়া, ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অটোগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। অনেক সময় অফিস যাওয়ার জন্য অনেকে অটো ব্যবহার করছেন। আট কিমি রাস্তার জন্য অটো চালকেরা যাত্রীপিছু ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছেন।
সব মিলিয়ে আংশিক লকডাউনে অস্বাভাবিক ভাড়ার জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অফিস যাত্রীদের একাংশকে।
Comments are closed.