আমাদের কম বয়সি ছেলেরা বিভ্রান্ত হয়ে গুলি চালিয়েছে, জামিয়া-শাহিন বাগের গুলি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের
বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং স্বীকার করে নিলেন, জামিয়া এবং শাহিন বাগে গুলি চালিয়েছে তাঁদের ‘কম বয়সি ছেলেরা’। তাঁর দাবি, ‘আমাদের কম বয়সি ছেলেরা বিভ্রান্ত হয়ে গুলি চালিয়েছে।’ তবে কেন তারা বিভ্রান্ত, তার কোনও ব্যাখ্যা দেননি অর্জুন।
এই প্রথম কোনও বিজেপি নেতা ওই গুলি-কাণ্ডে নিজেদের লোকেদের জড়িত থাকার কথা সরকারিভাবে স্বীকার করলেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বেশ কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন জামিয়া ও শাহিন বাগে গুলি চালনার ঘটনাকে গৌরবান্বিত করেছে। কিন্তু বিজেপির কোনও পদাধিকারী এখন পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেননি।
গত বৃহস্পতিবার জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের উপস্থিতিতেই সিএএ বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীর উদ্দেশে গুলি ছোড়ে এক যুবক। তাতে জখম হন এক ছাত্র। একইরকম ভাবে দিল্লির শাহিন বাগেও গত ক’দিনে একাধিকবার গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। রবিবার গভীর রাতেও জামিয়া চত্বরে দুই যুবক শূন্যে গুলি চালিয়ে পালায়। দুই ঘটনায় অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতারের পর উঠে এসেছে তাদের বিজেপি যোগের কথা। এই ঘটনা নিয়ে সোমবার কথা বলতে গিয়ে কার্যত বন্দুকবাজদের সমর্থনের কথা উঠে এল বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের গলায়।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্জুন সিংহ বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে সুরক্ষা দিয়ে শাহিন বাগে আন্দোলনে বসিয়ে রেখেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। জামিয়া মিলিয়ায় যে ঘটনা ঘটছে তার সঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের কোনও সম্পর্ক নেই বলে তাঁর দাবি। কথা প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, ‘আমাদের কম বয়েসি ছেলেরা বিভ্রান্ত হয়ে গুলি চালিয়ে ফেলেছে।’
এরপরেই বিজেপি সাংসদ শাহিনবাগ ও জামিয়ার গুলি চালানোর ঘটনার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দুই নেতার গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর তুলনা টেনেছেন। অর্জুনের কথায়, সবাই কেবল এই দুটি গুলি চালানোর আলোচনা করছে, যেখানে কোনও ক্ষতিই হয়নি। কিন্তু হিন্দু মহাসভার দুই নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। তা নিয়ে কেউ কিছু বলছেন না।
বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যের বিরোধীদের কটাক্ষ, জামিয়া ও শাহিনবাগ কাণ্ডের পর অর্জুন সিংহ স্বীকারই করে নিলেন তাঁদের দলের ছেলেরাই এই ঘটনায় যুক্ত। শুধু তাই নয়, আক্রমণকারীদের ‘কম বয়েসি’ বলে বিষয়টিকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করছেন তিনি।
Comments are closed.