নয়া অস্বস্তিতে অর্ণব গোস্বামী, আত্মহত্যায় প্ররোচনার পুরনো মামলার তদন্ত শুরু করল মহারাষ্ট্র সরকার

ফের নয়া অস্বস্তিতে রিপাবলিক টিভির সম্পাদক ও সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামী। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে অর্ণব গোস্বামী সহ দু’জনের বিরুদ্ধে একটি পুরনো মামলার ফের তদন্ত শুরু করছে মহারাষ্ট্র সরকার। ২০১৮ সালের এই মামলার তদন্তের জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

অর্ণবের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? 

অভিযোগ, কনকর্ড ডিজাইনিং নামে মুম্বইয়ের একটি স্থাপত্য ও ইন্টিরিয়র ডিজাইনিং ফার্মের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আনভে নায়েক এবং তাঁর মা ঋণের চাপে দু’বছর আগে আত্মহত্যা করেন। তাঁদের পরিবারের অভিযোগ, অর্ণব গোস্বামী সহ দু’জন বকেয়া টাকা না দেওয়ায় ঋণে জর্জরিত হয়ে তাঁরা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। অভিযোগ জানান, মৃত আনভে নায়েকের কন্যা। যদিও যাঁদের দিকে আঙুল উঠেছে, সেই অর্ণব গোস্বামীর রিপাবলিক টিভির তরফে আগেই দাবি করা হয়েছে, তারা সব পাওনা পরিশোধ করে দিয়েছিল।
পুরনো এই মামলা ফের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উদ্ভব ঠাকরে সরকার। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ এক ট্যুইটে লেখেন, মৃত আনভের কন্যা অদন্যা নায়েক তাঁর কাছে অভিযোগ করেছেন, আলিবাগ পুলিশ অর্ণব গোস্বামীর রিপাবলিক টিভির কাছ থেকে পাওনা পরিশোধের তদন্তই করেনি। যা ২০১৮ সালে তাঁর শিল্পপতি বাবা এবং ঠাকুমাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছিল। তিনি সিআইডিকে এই মামলার তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে ট্যুইটে জানান অনিল দেশমুখ।
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালের মে মাসে মুম্বইয়ের রায়গড় জেলার আলিবাগের বাংলোতে কুমুদ নায়েকের সঙ্গে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় আনভে নায়েককে। অদন্যার অভিযোগ, অর্ণব গোস্বামী তাঁর বাবাকে যে পাওনা ৮৩ লক্ষ টাকা দেননি, সেই সময় তার কোনও তদন্ত করেনি পুলিশ।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রায়গড় পুলিশ সুপার অনিল পরস্কর বলেন, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ভিত্তিতে আমরা তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিলাম। তবে, গত বছরের এপ্রিলে  আদালতের কাছে একটি রিপোর্ট দিয়ে জানাই যে, অভিযোগপত্র দাখিল করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ আমাদের হাতে নেই।
পুলিশের সন্দেহ, আনভে নিজেই মাকে হত্যা করে পরে নিজে আত্মহত্যা করেন। ইংরেজিতে লেখা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছিল পুলিশ। যাতে লেখা ছিল, আনভে ও তাঁর মা চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাতে রিপাবলিক টিভি, আইকাস্টএক্স ও স্কিমিডিয়ার ফিরোজ শেখ এবং স্মার্ট ওয়ার্কসের নিতীশ সারদার নাম ছিল। জানা যায়, তিন সংস্থার কাছে যথাক্রমে ৮৩ লক্ষ, ৪ কোটি এবং ৫৫ লক্ষ টাকা পেত কনকর্ড ডিজাইনস।

Comments are closed.