TRP Scam: ব্যবসার জন্য মোদীর অফিসের সাহায্য প্রার্থনা! অর্ণব ও BARC কর্তার চ্যাট ফাঁস!

অর্ণব গোস্বামীর হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ায়

টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট বা TRP Scam জালিয়াতি মামলায় নয়া মোড়। ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল (BARC) এর প্রাক্তন চিফ একজিকিউটিভ অফিসার পার্থ দাশগুপ্তর সঙ্গে রিপাবলিক টিভির অন্যতম কর্ণধার তথা সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর WhatsApp চ্যাট ফাঁসে তীব্র শোরগোল শুরু হল বিভিন্ন মহলে।

অর্ণব ও পার্থর মধ্যে ৫০০ পেজের একটি হোয়াটস্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা গিয়েছে ২০১৯ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত দু’জনের আলোচনায় রিপাবলিক টিভির ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য সরাসরি পিএমও বা প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সাহায্য নেওয়ার কথা বলেছেন অর্ণব গোস্বামী। এছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করতে চাওয়ার কথাও উঠে এসেছে এই হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনে। টিআরপি বৃদ্ধির জন্য অর্ণব-পার্থর কথোপকথনে একাধিক জায়গায় উঠে আসে বিজেপি নেতা ও মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ। একটি জায়গায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের সঙ্গে আলোচনার কথাও জানিয়েছেন অর্ণব। তবে টিআরপি জালিয়াতি মামলায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নাম উঠে আসায় সবচেয়ে বেশি শোরগোল শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন মুম্বই পুলিশের মাধ্যমেই ফাঁস হয়েছে।

টিআরপি জালিয়াতি মামলায় এখন জেলে রয়েছেন বার্ক-এর প্রাক্তন কর্তা পার্থ দাশগুপ্ত। এই প্রেক্ষিতে এই হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট ফাঁস নিয়ে অর্ণব গোস্বামীকে নিশানা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রশান্ত কিশোর। ট্যুইটারে অর্ণব গোস্বামী তো বটেই বিজেপি সরকারকেও নিশানা করেন তিনি, লেখেন, যে কোনও আইনের দেশে দীর্ঘদিনের জন্য জেল হত অর্নব গোস্বামীর।

ইউটিউবার ধ্রব রাথ, সাংবাদিক প্রশান্ত কানোজিয়া সহ বহু ইন্ডিপেন্ডেন্ট জার্নালিস্টও এ নিয়ে ট্যুইট করে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন।

টিআরপি জালিয়াতি মামলায় এখনও জেলে রয়েছেন বার্ক-এর প্রাক্তন কর্তা। ২৯ জানুয়ারির পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট মামলা মুলতুবি রেখেছে বম্বে হাইকোর্ট। ততদিন অর্ণব গোস্বামীকে মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করবে না বলে জানিয়েছে।

Comments are closed.