দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হল হাওড়ার জগাছার ভুয়ো সিবিআই অফিসার শুভদীপ ব্যানার্জিকে। মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
শুধু সিবিআই অফিসার পরিচয় নয়, নীলবাতি লাগানো গাড়িতে ঘুরে বেড়িয়ে সে নিজেকে রেলের ভিজিল্যান্স অফিসার পরিচয় দিত। এরপর চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করত। বাড়িতেও নিজেকে সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়েছিল সে। এমনকি এই পরিচয় দিয়ে সে বিয়েও করে।
স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলতেই শুভদীপের এই ভুয়ো পরিচয় সামনে আসে। তার স্ত্রীর কথায়, শুভদীপ বলেছিল, সে সিবিআইয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ড ডিরেক্টর। বিয়ের পর জানতে চাইলে বলে, ইউপিএসসি ২০১৭ পরীক্ষা দিয়েছে।
তার স্ত্রীর কথায়, সন্দেহ হতেই সিজিও কমপ্লেক্সে দেখা করার পর জানা যায়, এই নামে কেউ নেই। অভিযুক্ত শুভদীপের নানান ছবি সামনে এসেছে। কখনও তাকে দিল্লির নর্থ ব্লকের দফতরের সামনে, কখনও সেনাবাহিনীর সঙ্গে, আবার কখনও আবার হাতে রাইফেল নিয়ে ছবিযে দেখা গেছে।
জেরায় নিজের দোষ স্বীকার করেছে শুভদীপ। সে জানিয়েছে, বিহারের বাসিন্দা লালনের সঙ্গে কাজ শুরু হয়। প্রথমে অনলাইনে ইন্টারভিউ নেওয়া ছিল কাজ। লালন অনলাইনে টাকা দিত।
তার স্ত্রীর অভিযোগ, শুভদীপের এমন প্রতারাণার কথা পুরোটাই জানতেন তাঁর বাবা মা। কিন্তু তার বাবা মায়ের কথায়, বাড়িতেও সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়েছিল শুভদীপ। তার মা শুভ্রা ব্যানার্জি বলেন, সিবিআইতে কাজ করত বলে জানিয়েছিল শুভদীপ। আমি কোনও দিন এসব করতে বলিনি।
অন্যদিকে, শুভদীপের বাবা রাজকুমার ব্যানার্জি বলেছেন, ৬ বছর আগে অবসর নেওয়ার পর ৬০-৭০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। আমাদের ওপর অত্যাচার করত বাড়িতে। সিবিআইতে চাকরির অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার ও আইকার্ড দেখিয়েছিল।
Comments are closed.