করোনাভাইরাস মানব সভ্যতাকে এনে ফেলেছে এক মহাগুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে। থমকে গিয়েছে অর্থনীতি। চলছে দেদারে ছাঁটাই। আর যেখানে ছাঁটাই হচ্ছে না, সেখানে কমছে বেতন। চারদিকে এক অভূতপূর্ব নিরাশা আর হতাশা। এই পরিস্থিতিতে কর্মী বাহিনীর মনোবল বাড়াতে এক বেনজির পদক্ষেপ নিল এশিয়ান পেইন্টস। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে দিল তারা।
শুধু কর্মীদের বেতন বৃদ্ধিই নয়, এশিয়ান পেইন্টস সামগ্রী উৎপাদন থেকে শুরু করে বিক্রি করা পর্যন্ত যাঁরা যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত থাকেন, অর্থাৎ প্রোডাকশন অ্যান্ড সেলস চ্যানেলের প্রত্যেকের জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিমা, দোকানে বিনামূল্যে স্যানিটাইজ করে দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই খাতে মোট ৪০ কোটি টাকা বাড়তি খরচ করছে এশিয়ান পেইন্টস।
সকলের সামনে একটা উদাহরণ তৈরি করাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। তা পূরণ হচ্ছে। এশিয়ান পেইন্টস যে তার কর্মীদের সঙ্গ কখনও ছাড়ে না, এই বার্তাটুকু দেওয়া গিয়েছে। এটাই আমাদের নীতি। আমরা হায়ার অ্যান্ড ফায়ারে যেমন বিশ্বাস রাখি না, তেমনই বিপদের সময় আমাদের কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোকে কর্তব্য বলে মনে করি, বলছেন সংস্থার এমডি এবং সিইও অমিত সিঙ্গলে।
এশিয়ান পেইন্টস এর আগে কেন্দ্র ও রাজ্যের কোভিড তহবিলে ৩৫ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য করেছে। অমিত সিঙ্গলে বলেন, কেন্দ্রের রসায়ন মন্ত্রকের অনুরোধে তারা স্যানিটাইজার তৈরিও পুরোদমে শুরু করে দিয়েছেন।
তবে কেবল দু’হাতে খরচ নয়, এশিয়ান পেইন্টস কর্মী স্বার্থ বাদে অন্যান্য সমস্ত খরচে রাশ টানার কথাও জানিয়েছে। শেয়ার বাজারেও ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরমেন্স। বিশ্ববাজারে ক্রুড অয়েলের দাম তলানিতে ঠেকার সুবিধা পেয়েছে এশিয়ান পেন্টস। কারণ রঙ তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে ক্রুড অয়েল অপরিহার্য। অমিত সিঙ্গলে বলছেন, সংস্থার যা আর্থিক স্বাস্থ্য তাতে এই লকডাউন পরিস্থিতি আরও বাড়লেও সমস্যা নেই।
Comments are closed.