গো বলয় ছাড়িয়ে এবার লাভ জিহাদের হুঙ্কার শোনা গেল অসমের বিজেপি নেতার মুখে। সে রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে দুই প্রাপ্ত বয়স্কের বিয়ে নিয়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দর্শন চর্চার পথে অসম বিজেপি।
‘লাভ জিহাদ’ এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন অসমের স্বাস্থ্য মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা। রবিবার ডিব্রুগড়ে বিজেপি মহিলা মোর্চার সভা থেকে হুমকির সুরে হিমন্ত বলেন, ‘আমাদের মাটিতে লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে কঠোর লড়াই শুরু হবে। অসমে কোনও ছেলে নিজের পরিচয় ও ধর্ম গোপন করে বিয়ে করলে অথবা আমাদের মেয়ে ও বোনেদের সম্পর্কে কোনও খারাপ কথা বললে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে।’
তাঁর দাবি, সোশ্যাল মিডিয়াই এখন নয়া আতঙ্ক। সোশ্যাল মিডিয়াতেই ‘লাভ জিহাদ’ এর প্রচার হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই অসমিয়া তরুণীদের লাভ জিহাদের শিকার হতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। অসম বিজেপির প্রভাবশালী এই নেতা আরও বলেন, রাজ্যে বিজেপি পুনর্নির্বাচিত হয়ে এলে আমরা নিশ্চিত করব, কোনও অসমিয়া মেয়েকে যেন ট্রোল, হয়রান করা বা নাম গোপন রেখে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের লাভ জিহাদের শিকার হতে না হয়। তাদের জায়গা হবে কারাগারে। লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে নতুন লড়াই শুরু করতে হবে আমাদের, ঘোষণা মন্ত্রীর।
এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমলকে সরাসরি আক্রমণ করে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, আজমলের সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী মানুষরাই লাভ জিহাদের পিছনে। আমরা প্রতিজ্ঞা করেছি, ‘আজমলস আর্মি’ বা আজমলের সেনার কেউ আমাদের মেয়েদের স্পর্শ করলেই তাঁদের শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। বহু মুসলিম ছেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় নাম ভাঁড়িয়ে অসমের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলছে। লাভ জিহাদ এখন অসমের মেয়েদের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, মন্তব্য মন্ত্রীর। তিনি বলেন, এই সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে। না হলে আগামী দিনে আরও বড় বিপদ আমাদের মেয়েদের জন্য অপেক্ষা করছে।
এআইইউডিএফ প্রধানকে কটাক্ষ করে হিমন্ত বিশ্বশর্মা আরও বলেন, প্রতি পাঁচ বছরে পাঁচটি নির্বাচনী কেন্দ্র আজমলের হাতে চলে যাচ্ছে। বাবর, আকবরদের সঙ্গে এআইইউডিএফ প্রধানের তুলনা টেনে তিনি বলেন, এখনও সরাইঘাটের যুদ্ধ শেষ হয়নি। আগামী বিধানসভা ভোটেই এর জবাব দেওয়া হবে।
Comments are closed.