বাবরি মসজিদ মামলার বিচারপতি নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দিলেন সুপ্রিম কোর্টে

নিজের নিরাপত্তা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেন বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার বিচারপতি। চিঠি পেয়ে ২ সপ্তাহের মধ্যে উত্তর প্রদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া চাইল সুপ্রিম কোর্ট।
২৫ বছরের পুরনো বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার বিশেষ বিচারপতি এস কে যাদব নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন। তাই পুলিশি নিরাপত্তার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে লিখিত আর্জি জানান লখনউয়ে সিবিআই আদালতের বিশেষ বিচারপরতি এস কে যাদব। তাঁর আবেদন সঙ্গত মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি আর এফ নারায়ণ ও বিচারপতি সূর্য কান্তর বেঞ্চ এই আবেদন পর্যালোচনা করে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে উত্তর প্রদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া চেয়েছে। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিচারপতি যাদব যে মামলার শুনানির দায়িত্বে রয়েছেন তার গুরুত্ব বিশাল এবং তাঁর নিরাপত্তার দাবিও সঙ্গত।
গত জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। এই কারণে বিচারপতি এস কে যাদবের কার্যকালের মেয়াদও বাড়ানো হয়। সেপ্টেম্বরেই বিচারপতি এস কে যাদবের অবসর নেওয়ার কথা ছিল।
১৯৯২ সালের ৩০ শে সেপ্টেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে নাম জড়ায় বিজেপির প্রবীণ নেতা এল কে আদবানি, এম এম জোশি, উমা ভারতী, কল্যাণ সিংহ সহ অন্যান্যদের। ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এলাহাবাদ হাইকোর্ট আদবানি এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ খারিজ করে যে রায় দেয়, তাকে খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৭ সালের ১৯ শে এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট আদবানি সহ ১৩ জন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র মামলা দু’বছরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই সময়সীমা পার হওয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। এরপর চলতি বছরের জুলাই মাসে শীর্ষ আদালত এই মামলা নিষ্পত্তির জন্য আরও দু’বছর সময় দেয়। সুপ্রিম কোর্ট এও জানায়, যেহেতু এই ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম অভিযুক্ত কল্যাণ সিংহ বর্তমান রাজস্থানের রাজ্যপালের পদে রয়েছেন, তাই কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অভিযোগ দায়ের করা যাবে। কল্যাণ সিংহের রাজ্যপাল পদের মেয়াদও শেষ হচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বরেই।
প্রসঙ্গত, বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় যে ক’জন অভিযুক্ত ছিলেন, তার মধ্যে গিরিরাজ কিশোর এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা অশোক সিংঘল বিচার চলাকালীন মারা যাওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও খারিজ হয়ে গিয়েছে।

Comments are closed.