কয়েকঘন্টা হয়েছে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। আর ইস্তফা দিয়ে স্পিকারের বাসভবন থেকে বেরিয়েই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে বাবা-ভাইয়ের প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দিলেন বাবুল।
বিধানসভা ভোটের আগে বাবুল-শুভেন্দু জুটি ছিল দেখার মতো। একাধিক মঞ্চে দু’জনকে একসঙ্গে রাজ্যের শাসক দলের মন্ডুপাত করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু সময়ের ফেরে দু’জনে দুই শিবিরে। তবে তাঁদের মধ্যে যে বন্ধুত্ব রয়েছে এমনটা দুই নেতাই জানিয়েছেন। তবে মঙ্গলবার সাংসদ পদ ছাড়ার পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষে বিঁধলেন বাবুল। তৃণমূলে কার্যত না থেকেও শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারীর সাংসদ পদে থেকে যাওয়া নিয়ে বাবুল বলেন, ওঁদেরকে ইস্তফার পরামর্শ দেওয়া উচিত শুভেন্দুর।
কেন্দ্রের মন্ত্রীসভা সম্প্রসারণের কিছুদিন পরেই বিজেপি ছাড়েন বাবুল। আর গত ১৮ সেপ্টেম্বর সবাইকে অবাক করে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তখনই বাবুল জানিয়েছিলেন, বিজেপির টিকিটে জেতা সাংসদ পদ তিনি ছেড়ে দেবেন। সেই মতোই মঙ্গলবার স্পিকারের বাসভবনে গিয়ে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন।
ইস্তফাপত্র জমা দিয়েই বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাবুল। সেখানেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ ওঠে। বাবুল দাবি করেন, রাজনীতির বাইরে শুভেন্দু তাঁর বন্ধু। তারপরেই বলেন, কয়েকমাস আগেই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে তাঁকেও তো আমার সম্পর্কে কঠিন কথা বলতে হয়। তারপরেই বিরোধী দলনেতাকে তাঁর খোঁচা, শুভেন্দুর উচিত বাবা ও ভাইকে বলা যাতে ওঁরা সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। ওঁরা তো আর তৃণমূলে নেই এখন।
Comments are closed.