করোনার জেরে লকডাউন এবং আমপান পরবর্তী পরিস্থিতিতে রাজ্যের মানুষের দুঃসময়ে দলের যুব শাখাকে সামাজিক ভাবে জনপরিষেবায় নামিয়েছে তৃণমূল। ‘বাংলার যুবশক্তি’ নামের এই ‘অরাজনৈতিক’ কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যজুড়ে সামাজিক কাজ করবে তরুণ প্রজন্ম। ১১ জুন চালু হওয়া ওই কর্মসূচিতে ইতিমধ্যেই ১০ দিনে ৫০ হাজার যুবক-যুবতী যোগদান করায় আপ্লুত তৃণমূল সাংসদ তথা যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি। শনিবার এক ট্যুইটবার্তায় সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরে যোগদান করা যুব সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানান অভিষেক।
ট্যুইটে তিনি জানান, ‘বাংলার যুবশক্তি’ কর্মসূচি চালু হওয়ার মাত্র ১০ দিনের মধ্যে বাংলার ৫০ হাজার যুবক-যুবতীর সমর্থন ও প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে। এই দুঃসময়ে বাংলার যুব সম্প্রদায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাইছে দেখে আমি অভিভূত। আরও যুবক-যুবতীকে এই অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান অভিষেক ব্যানার্জি।
এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ১২ হাজার যুবক-যুবতী নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। প্রথম দিনই কর্মসূচির ভিডিও দেখেন প্রায় ১১ লক্ষ মানুষ। ৩৩১ টি ব্লক ও ২৩০টি টাউন থেকে মানুষ রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিলেন। সে কথা নিজেই জানিয়েছিলেন তৃণমূল যুব সভাপতি।
তৃণমূল সূত্রে খবর, করোনা ও আমপানে বিধ্বস্ত সাধারণ মানুষ খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সংক্রান্ত যে কোনও ধরনের সমস্যায় পড়লে সাহায্য করতে এগিয়ে যাবেন ‘বাংলার যুবশক্তি’ সদস্যরা। আশপাশের আর্ত মানুষের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন তাঁরা। ত্রাণ পৌঁছে তাঁদের সুরাহার ব্যবস্থা করবেন। এই উপলক্ষ্যে একটা ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে আগামী এক মাসে এক লক্ষ তরুণ-তরুণী এই প্রকল্পের আওতায় সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধা দেখবেন, এমনটাই আশা করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলের যুব শাখাকে এই বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিষেক। তৃণমূলের তরফে এই কর্মসূচি নেওয়া হলেও তাকে যথাসম্ভব অরাজনৈতিক রাখতে হবে বলে সেই বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
Comments are closed.