দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে তাজপুর বন্দর তৈরির কাজ শুরু করল রাজ্য। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বন্দরের জন্য প্রয়োজনীয় জমি চিহ্নিত করার কাজ শেষ করেছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, সবমিলিয়ে এক হাজার একর জমির উপর গড়ে উঠবে তাজপুর গ্রিনফিল্ড বন্দর। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ শিল্পন্নয়ন নিগমের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে টেন্ডারও ডাকা হয়েছে। যার জেরে বন্দর তৈরির কাজ বেশ কয়েকধাপ এগিয়ে গেলো।
নবান্ন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বন্দর গড়ার কাজে মোট ১৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুই পর্যায় কাজ হবে। প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের জন্য ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বন্দরের জন্য চাষিদের কাছ থেকে ৯৯ বছরের জন্য জমি লিজে নিয়েছে রাজ্য সরকার।
মৎসমন্ত্রী অখিলগিরি জানান, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। বন্দরটি তৈরি হলে সরাসরি প্রায় ১০ হাজার মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হবে। এছাড়াও পরোক্ষভাবে বিপুল কর্মসংস্থান গড়ে উঠবে।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, শিল্পে বাংলাকে শীর্ষস্থানে নিয়ে যাওয়াই হবে তাঁর সরকারের লক্ষ্য। সেই মতো রাজ্যে শিল্প টানতে মমতা ব্যানার্জি যে সমস্ত ঘোষণা করেছিলেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দীর্ঘদিনের প্রস্তাবিত তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষমতায় ফিরেই তাজপুর বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করল মমতা সরকার।
Comments are closed.