বছর শেষেই ডিম উৎপাদনে স্বনির্ভর হতে চলেছে বাংলা

বাংলাকে ডিম উৎপাদনে স্বনির্ভর করে তুলতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এবার সেই ইচ্ছা সত্যি হতে চলেছে। এবার ডিম উৎপাদনে স্বনির্ভর হতে চলেছে বাংলা। এই রাজ্যে প্রতিদিন আড়াই কোটির মতন ডিমের প্রয়োজন হয়। সংগঠিত ও অসংগঠিত পোলট্রি মিলিয়ে প্রায় এক কোটি ৮০ লক্ষ ডিম বাংলাতেই উৎপাদিত হয়। বাকি ডিম আসে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও ওড়িশা থেকে।

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর ভিন রাজ্য থেকে ডিম আমদানি কমিয়ে আনতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এবং রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের মিলিত প্রয়াসে এই বছরের ডিসেম্বর থেকে ডিম উৎপাদনে স্বনির্ভর হতে চলেছে বাংলা। বছর শেষেই গোবিন্দপুর, শালবনী, মেখলিগঞ্জ, ইংরেজবাজার সহ সব সরকারি ফার্মে ২০ লক্ষের বেশি ডিম উৎপাদন করা হবে।

গত বছর ১ কোটির বেশি মুরগির বাচ্চা গ্রামে গ্রামে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পশুপালকদের মধ্যে দেওয়া হয়েছিল। সেই মুরগির থেকে পাওয়া ডিম এই বছর শেষে মুরগির জোগান মেটাবে বলেও মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও ১০ হাজারের বেশি মুরগি রাখার ক্ষমতা সম্পন্ন প্রায় ১০০টি ফার্মকে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বৈজ্ঞানিকভাবে উন্নত করা হয়েছে। বীরভূমের রাজনগরের বেগমপুর মৌজায় হাঁসের খামার তৈরির জন্য ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে প্রাণিসম্পদ বিকাশ উন্নয়ন নিগম। ইতিমধ্যে ৫০টি সংস্থা এই রাজ্যে ডিম উৎপাদন করার জন্য আবেদন করেছে। তাঁদের আবেদন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Comments are closed.