বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরীমণির ফেসবুক পোস্ট নিয়ে গতকাল রাত থেকে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া! তাঁকে খুন ও ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের প্রভাবশালী এবং প্রতিষ্ঠিত এক ব্যবসায়ী। খুন ও ধর্ষণকারীর পাশাপাশি প্রশাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন অভিনেত্রী৷
অন্যায়ের বিচার চাইতে রবিবার রাতে নায়িকা স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। ফেসবুক পোস্টে অভিযুক্তের নাম না জানালেও পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযুক্তের নাম প্রকাশ্যে আনেন পরীমণি। তাঁর এই ঘটনায় তীব্র ধিক্কার জানিয়ে এবার নায়িকার পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশের খ্যাতি সম্পন্ন অভিনেত্রী জয়া আহসান।
সোমবার ফেসবুকে পরীমণির ছবি শেয়ার করে তাঁর পাশে থাকার কথা জানান জয়া। সেখানে তিনি লিখেছেন, পরীমণির খবরটি শোনার পর থেকে বেদনা ও ধিক্কারে মনটা ভরে উঠেছে। আমি কষ্ট পাচ্ছি মানুষ হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, অভিনয়–জগতের একজন সদস্য হিসেবে। একবিংশ শতকের অনেকটা পথ পার হয়ে এসে এখনো মেয়েদের এমন লাঞ্ছনা দেখতে হবে? কোনো মানুষ, কোনো মেয়ের সঙ্গে এমন আচরণ করার মন, মানসিকতা বা দুঃসাহস কোত্থেকে আসে? যে চলচ্চিত্রশিল্পকে রক্তে–ঘামে আমরা তিল তিল করে গড়ে তুলছি, তা এতই নাজুক, এতই খেলো? এ ঘটনা আমরা তলা পর্যন্ত বুঝতে চাই। আমরা দেখতে চাই, এমন দুর্বৃত্তপণার বিচার হয়েছে। দেখতে চাই, কোনো মেয়ে—তা সে যে–ই হোক—তার সঙ্গে এমন আচরণের অবসান হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবাদ সুত্রে খবর, রবিবার পরীমনি জানান, ১০ জুন রাতে তিনি এবং তাঁর দুই বন্ধু একটি ক্লাবে যান। সেখানেই কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এর পর তাঁদের মধ্যে একজন তাঁর মুখে মদের গ্লাস চেপে ধরে এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পীরমণির অভিযোগ, তাঁকে মারধর করা হয়। এছাড়াও তাঁর সঙ্গে থাকা বন্ধুটিকেও মারা হয়। এত কিছুর পরও পুলিশি সহযোগীতা করেননি। তাই অবশেষে প্রকাশ্যেই মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগের আঙুল বাংলাদেশের সুপরিচিত এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর দিকেও।
ফেসবুক পোস্টের কয়েক ঘণ্টার পর সাংবাদিকদের পরী জানান, তাঁকে হত্যা ও ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম। অভিনেত্রী জানান, তাঁর ওপর নারকীয় অত্যাচার চালিয়েছেন নাসির ইউ মাহমুদ নামের এক ব্যক্তি।
Comments are closed.