গতকাল ছিল ২রা নভেম্বর, বলিউডের বাদশার জন্মদিন। কিং খানের জন্মদিন পালনে মেতে উঠেছিল বিশ্বজুড়ে তাঁর ফ্যানরা। বিশ্বের সর্বউচ্চ টাওয়ার, বুর্জ খালিফার বড় স্ক্রিনে জানানো হয় তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। কিন্তু কাল কেবল শাহরুখ খানের জন্মদিন ছিলনা। কাল ছিল আরো একজনের জন্মদিন, এক বাঙালির জন্মদিন। ভূতকেও ভালবাসতে শিখিয়ে ছিলেন যিনি। শিশু সাহিত্যে যাঁর অবদান অনস্বীকার্য। বুঝতেই পারছেন কার কথা বলছি। গতকাল ছিল প্রখ্যাত সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন। আর সেই বাঙালির জন্মদিন ভুলে গিয়েছিল বাংলাভাষী।
গতকাল রাত ১২ টার পর থেকেই নেটদুনিয়ায় জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দেন শাহরুখের ভক্তরা। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে তাঁর ফ্যানরা তাকে জানান জন্মদিনের শুভেচ্ছা। এর মাঝে বাঙালিরাও পিছিয়ে থাকেনি। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এসআরকে দিবস পালন করেন বাঙালিরা। আর সেই চক্করে বাঙালি ভুলে গেলো শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় জন্মদিন। হাতেগোনা কয়েকজনই তাঁর জন্মদিন মনে রেখে তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানান।
গতকাল ৮৫ বছরে পা দিলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তাঁর কলমের সাহিত্য বাঙালির কাছে উপহার। মানবজমিন, দূরবীন, পার্থিব, দোসর, পারাপার, কাগজের বউ, জীবনপত্র মত একাধিক অসামান্য সাহিত্য উপহার দিয়েছেন বাঙালিকে। তবে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় পরিচিত শিশু সাহিত্যিক হিসাবেই। বাঙালিকে ভুতের সাথে পরিচয় করিয়ে ছিলেন তিনি। তিনি শিখিয়েছিলেন ভূত আর ভৌতিকের তফাৎ। সাধুবাবার লাঠি, গোঁসাইবাগানের ভূত, পাতালঘর, ঝিলের ধারে বাড়ি সহ একধিক ছোটদের ভূতের গল্প লিখেছেন তিনি। তাই বাঙালি ভুলে গেলো শবর দাশগুপ্তের সৃষ্টিকর্তার জন্মদিন।
তিনি নন কোন রুপোলি পর্দার তারকা। সাহিত্য রচনাতেই তাঁর জোড়। তাই বাংলাভাষী ভুলে গেলো আজ বাংলার গর্বকে। ২রা নভেম্বর শাহরুখ খানের জন্মদিন। এই দিনে জন্মগ্রহণ করে হয়তো ভুল করেছিলেন ভূতেদের রাজা, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
Comments are closed.