উত্তরপাড়া গভঃ স্কুলের কিংশুক দাশগুপ্ত বিজ্ঞান চর্চায় সর্বোচ্চ সম্মান ভাটনগর পুরস্কার পেলেন বুলেট প্রুফ জ্যাকেট তৈরির গবেষণায়

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের ৭৯ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে দেশের ১৪ জন বিজ্ঞানী পেলেন শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার। বিজ্ঞান চর্চায় দেশের সর্বোচ্চ সম্মান প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন উত্তরপাড়া গভর্নমেন্ট স্কুলের ছাত্র এবং ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের গবেষক ডঃ কিংশুক দাশগুপ্ত। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন The Bengal Story র প্রতিনিধি পৃথা ব্যানার্জি।

 

প্রশ্ন: আপনাকে প্রথমেই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। উত্তরপাড়া থেকে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের গবেষক হয়ে ওঠার পথটি কেমন ছিল?

উত্তর: আমার জন্ম বালিতে, উত্তরপাড়া গভর্নমেন্ট স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ১৯৯৫ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মেটালারজি নিয়ে ভর্তি হই। ১৯৯৯ সালে ভাবা অ্যাটমিক সেন্টারে যোগ দিই। প্রথম এক বছর নিউক্লিয়ার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ট্রেনিং পিরিয়ড শেষ করে ২০০০ সালে সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করিI এর মধ্যে আমি মেটিরিয়ালস গ্রুপে যোগ দিই এবং তা নিয়েই এখনও কাজ করছি। ২০১৩ সালে পিএইচডি শেষ করি মুম্বইয়ের ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে। আমি এই মুহূর্তে হোমি ভাবা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হিসেবে বতর্মানে কর্মরত।

প্রশ্ন: আপনি যে কাজের জন্য এই স্বীকৃতি পেলেন, সেটি সম্পর্কে কিছু বলুন…
উত্তর: আমি প্রধানত কাজ করি কার্বন বেসড ন্যানো মেটিরিয়ালসের ওপর। বিজ্ঞানের ভাষায় বলা যেতে পারে, আমার কাজের বিষয় বা ক্ষেত্র হল ‘সিনথেসিস অফ ন্যানো মেটিরিয়ালস’ ও তার ব্যবহার। যার অন্যতম সাম্প্রতিক প্রয়োগ হল, ‘ভাবা কবচ’। যা আসলে বুলেট প্রফ জ্যাকেট। এই জ্যাকেট তৈরি হয় ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য। মূলত এই কাজের জন্যই আমাকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন: আপনার এই গবেষণা কীভাবে দেশের কাজে লাগবে?
উত্তর: আগে বুলেট প্রফ জ্যাকেট বিদেশ থেকে আমদানি হতো, যা ছিল অত্যন্ত মূল্যবান ও ওজনে বেশ ভারী। আমাদের এখানে তৈরি এই জ্যাকেটগুলি তুলনায় হালকা, যা পরে কাজ করতে অনেক সুবিধা। এই আধুনিক বুলেট প্রুফ জ্যাকেট তৈরির গবেষণাই আমরা করছি ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারে।

Comments are closed.