ভীমা কোরেগাঁও (Bhima Koregaon) বিজয় দিবসের ২০২ তম বর্ষপূর্তির আগে ১৬০ জনকে নোটিস পাঠাল পুণে পুলিশ। আগামী ১ জানুয়ারি ভীমা কোরেগাঁও বিজয় দিবসের আগে ডানপন্থী নেতা মিলিন্দ একবোটে, সম্ভাজি ভিড়ে-কে জেলায় প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি ভীমা কোরেগাঁওয়ে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে সম্ভাজির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। অন্যদিকে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে মিলিন্দ একবোটেকে গত বছরের মার্চ মাসে গ্রেফতার করে পুণে পুলিশ। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত।
তবে ভীমা কোরেগাঁও (Bhima Koregaon) যুদ্ধের ২০২ তম বিজয় দিবসে ফের যাতে কোনও অশান্তির ঘটনা না হয়, তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ জানিয়েছে, ভিড়ে ও একবোটে সহ ১৬৩ জনকে নোটিস পাঠিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন এলাকায় না প্রবেশ করেন।
২০১৮ সালে ১ জানুয়ারি পুনেতে ভীমা কোরেগাঁও যুদ্ধের বিজয় দিবস উদযাপনের সময় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একজনের মৃত্যুও হয়। হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগে কবি ও বামপন্থী নেতা ভারভারা রাও, সমাজকর্মী অরুণ ফেরেরা, ভার্নম গনজালভিস, সুধা ভরদ্বাজ ও গৌতম নভলেখার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। এঁদের সঙ্গে মাওবাদী যোগের অভিযোগ আনে পুলিশ। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট সরকার অবশ্য ঘোষণা করেছে, ভীমা কোরেগাঁও মামলায় যাঁদের বেআইনিভাবে ফাঁসানো হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হবে।
অন্যদিকে ডানপন্থী নেতা সম্ভাজি ও একবোটের মতো নেতাদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হয়। ২০১৮ সালের ভীমা কোরেগাঁও হিংসার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে দাবি পুণে পুলিশের।
জেলা প্রশাসনের তরফে পুণের পার্ন গ্রামে নতুন ‘জয় স্তম্ভ’ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এখানেই প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষ জড়ো হয়ে ভীমা কোরেগাঁও যুদ্ধের বিজয় উৎসব পালন করে।
১৮১৮ সালে ভীমা কোরেগাঁ ও যুদ্ধ হয় ব্রিটিশ ও পেশওয়াদের মধ্যে। যুদ্ধে মারাঠা সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে দলিতরা যুদ্ধ করেছিলেন ব্রিটিশদের হয়ে। উচ্চবর্ণের শোষণের বিরুদ্ধে নিম্নবর্ণের যুদ্ধ জয়ের কাহিনিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ভীমা কোরেগাঁও বিজয় উৎসব পালন করেন দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ।
Comments are closed.