মাটির তৈরি ছোট্ট বাদাম খোলের মধ্যেই ফুটিয়ে তুললেন ‘বাদাম কাকুর মুখ’; ভূবন বাদ্যকারকে অভূতপূর্ব সম্মান নাড়াজোলের বিমানের
কয়েকদিন আগেই নেট পাড়ায় ঝড় তুলেছিল ভূবন বাদ্যকরের ‘বাদাম বাদাম’ গানটি। বীরভূমের এক অখ্যাত বাদাম ফেরিওয়ালা নিজের গাওয়া গানের জেরে রাতারাতি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যান। এবার সেই বাদাম বিক্রেতাকে নিজের সৃষ্টির মধ্য দিয়ে অভূতপূর্ব সম্মান জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুরের নাড়াজোলের বাসিন্দা বিমান আদক। মাটির তৈরি ছোট্ট বাদাম খোলের উপর বিমানের তৈরি ‘বাদাম কাকুর মুখ’ ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। শিল্পের এই ধরনের পোশাকি নাম মাইক্রো আর্ট। এই প্রথম নয়, এর আগেও নিজের একাধিক সৃষ্টির মাধ্যমে তাকে লাগিয়েছেন বিমান।
কয়েকদিন আগেই দেশের ৭৫ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৭৫ টি দেশলাইকাঠি দিয়ে অশোক চক্র তৈরী করে তাতে ৭৫ জন স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছবি এঁকে সংবাদের শিরনামে উঠে এসেছিলেন। TheBengalStory-কে বিমান জানালেন, গত চার-পাঁচ বছর ধরে মাইক্রো আর্টের কাজ করছেন বিমান। বর্তমানে ‘বাদাম-কাকু’কে নিয়ে কাজ করতে ৩ দিনে তাঁর প্রায় ৯ ঘন্টা সময় লেগেছে। বিমানের অবাক করা কাজগুলির মধ্যে অন্যতম, সাবানের উপর তৈরি মা দূর্গা, আম কেটে কবি নজরুল ইসলাম, মাস্ক দিয়ে রবীন্দ্রনাথ, বাঁশপাতায় গণেশের ছবি প্রভৃতি।
পাঁশকুড়া কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন বিমান। বর্তমানে আঁকা সেখান তিনি। খুদে স্কুল পড়ুয়া থেকে কলেজ স্টুডেন্ট, বর্তমানে বিমানের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৫০০ জন। পাশাপাশি দেশের নানান প্রান্তে এক্সিবিশনেও তাঁর আঁকা ছবির প্রদর্শন হয়। বিমানের ইচ্ছে ছবি আঁকাকেই পেশা হিসেবে নেওয়ার। যদিও মাইক্রো আর্টগুলি নিজের জন্যই তৈরি করেন বিমান।
ছবি আঁকা-কে পেশা হিসেবে নেওয়া তো বেশ ঝুঁকির সিদ্ধান্ত? আপনার মতো যারা ভালোলাগাকেই পেশা হিসেবে নিতে চাইছেন, তাঁদের কী বলবেন? অন্য পেশার কথা বলতে পারবো না, কিন্তু যেকোনও সৃষ্টির মূলেই তো রয়েছে শিল্পী। শিল্পীরাই তো সৃষ্টি করেন। এই কাজের বিকল্প কিছু হতে পারে না, মন্তব্য বিমানের।
কথায় কথায় বিমান আরও জানালেন, তাঁকে ভাবতে বাধ্য করেছে এমন যেকোনও ঘটনাই মাইক্রো আর্ট তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করে বলে জানালেন বিমান। করোনা কালে একটি ট্যাবলেটের উপর হাসপাতাল তৈরি করেও অবাক করেছিলেন তিনি।
Comments are closed.