অযোধ্যার মতোই হতে চলেছে সবরীমালা রায়, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ বিন্দু-কনকদুর্গা

গত বছর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে যে দুই মহিলা সবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করে নজির সৃষ্টি করেছিলেন, সেই বিন্দু আম্মিনি ও কনকদুর্গা সুপ্রিম কোর্টের বৃহস্পতিবার রায়ে হতাশ এবং বিস্মিত। তাঁদের দু’জনেরই অভিযোগ, এই রায়ের পিছনে রাজনীতি আছে।
সুপ্রিম কোর্ট সবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতী মহিলারা ঢুকতে পারবেন বলে রায় দিয়েছিল ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। এরপর চলতি বছরের ২ জানুয়ারি প্রথম মহিলা হিসেবে সঙ্গী কনকদুর্গাকে নিয়ে আয়াপ্পা দেবের দর্শন করেন বিন্দু আম্মিনি। তাঁদের এই উদ্যোগের পিছনে অবশ্য কেরলের বাম সরকারের পুরোপুরি মদত ছিল। পরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের রোষে পড়ে সরকারি সাহায্যে গা ঢাকা দেন নজির সৃষ্ঠিকারী দুই মহিলা।
এদিন শীর্ষ আদালত সবরীমালায় নিয়ে আগের রায় বহাল রেখেই রিভিউ পিটিশনের বিষয়টি সাত সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছে। এতেই ক্ষুব্ধ পেশায় আইনজীবী বিন্দু। তাঁর কথায়, অযোধ্যার মতোই হতে চলেছে এই মামলার ভবিষ্যৎ। শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্ত ‘হতাশাজনক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, অনেকটা অযোধ্যার রায়ের ধাঁচেই এগোচ্ছে সবরীমালা রায়। বিন্দু বলেন, যেভাবে বৃহত্তর বেঞ্চের দিকে রিভিউ পিটিশন ঠেলে দেওয়া হল তাতে আমি বিস্মিত। অযোধ্যার মতো সবরীমালা মামলার চূড়ান্ত রায়ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হবে, যা দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা ও সংবিধানের মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করবে। তাঁর আরও মন্তব্য, দেশের বিচার ব্যবস্থা যদি রাজনৈতিক রঙ পেয়ে যায় তা কখনও দেশের ও দশের জন্য ভালো হতে পারে না।
ইংরেজি নিউজ পোর্টাল ‘দ্য নিউজ মিনিট’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিন্দু জানান তিনি বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি আর এফ নরিমানের সঙ্গে সহমত। তাঁর অভিযোগ, সবরীমালা মন্দিরের সমস্যার সমাধানে পৌঁছতে আবারও অনেক বছর লেগে যাবে।
অন্যদিকে, বিন্দুর আর এক সঙ্গী কনকদুর্গা জানান, তিনি এখনও মনে করেন, সব বয়সের মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশ তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমিও মনে করি শীর্ষ আদালতের এই পদক্ষেপ রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।

Comments are closed.