উচ্ছেদ নোটিস ৮৩ বছরের বিরজু মহারাজ সহ ২৭ শিল্পীকে, অতিমারির মধ্যে কোথায় খুঁজবেন বাড়ি? প্রধান মন্ত্রীকে চিঠি
১৯৮৩ সাল থেকে দিল্লির শাহজাহান রোডের বাড়িতে আছেন অশীতিপর নৃত্যশিল্পী বিরজু মহারাজ। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই বাড়ির পাট গুটিয়ে তাঁকে অন্যত্র চলে যেতে হবে। ১৯৮৮ সাল থেকে রাজধানীর এশিয়াড ভিলেজে থাকেন ৮০ ছুঁই ছুঁই চিত্রশিল্পী যতীন দাস, তাঁকেও উচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি আবাসের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ২৭ জন বিখ্যাত শিল্পীকে উচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। এঁরা প্রত্যেকেই রাজধানী দিল্লিতে লাইসেন্স ফিয়ের বিনিময়ে এতদিন ওই বাড়িগুলোতে থাকতেন। কিন্তু এবার আর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রক। তাই ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিকল্প বেছে নিতে বলা হয়েছে বিরজু মহারাজদের। এই অতিমারি পরিস্থিতিতে কথায় ঘুরবেন? বুঝতে পারছেন না প্রথিতযশা শিল্পীরা। বিরজু মহারাজ প্রধান মন্ত্রী মোদীকে এই নিয়ে চিঠি দিয়েছেন। এখনও উত্তর আসেনি।
প্রশ্ন উঠছে, নগরোন্নয়ন মন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নিল কেন? একটি অংশের মত, দীর্ঘদিন নামমাত্র খরচে এই বাড়িগুলো ব্যবহার করেছেন শিল্পীরা। কিন্তু এটা কোনও স্থায়ী ব্যবস্থা নয়। তাই কখনও না কখনও বাড়ি ছাড়তেই হোত। আবার অন্য একটি অংশের মতে, এর আগে বারবার শিল্পীদের বিকল্প জায়গায় চলে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে, কিন্তু কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে নোটিস।
যদিও প্রশ্ন উঠছে রাজধানীর শীতে অতিমারির মধ্যে বয়স্ক শিল্পীরা কোথায় বাসা খুঁজবেন?
দশকের পর দশক ধরে গোটা পৃথিবীতে ভারতের নাম উজ্জ্বল করা বিরজু মহারাজ, যতীন দাসরা বলছেন, সরকার যখনই ডেকেছে, অর্থের কথা না ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়েছি, সরকারি তহবিলে সহায়তার কোথা না হয় বাদই দিলাম। কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী বিরজু মহারাজের প্রশ্ন, তার প্রতিদান করোনাকালে উচ্ছেদ করার মধ্যে দিয়ে দেবে সরকার? মানবিকতার খাতিরে নোটিস প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন সহ শিল্পীরা। সরকার মানবে কি?
Comments are closed.