পরীক্ষার মরসুমে পুরভোট না করার আর্জি জানাল বিজেপি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে। বৃহস্পতিবার মুকুল রায়ের নেতৃত্বে রাজ্য বিজেপির এক প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের সঙ্গে দেখা করে ১২ এপ্রিল কলকাতা ও হাওড়া কর্পোরেশনের ভোট না করার আর্জি জানান। পরে মুকুল সাংবাদিকদের বলেন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হবে ৩০ মার্চ। তারপর প্রচারের জন্য মাত্র দশ দিন পাওয়া যাবে। পরীক্ষা চলাকালীন মাইকে প্রচার চালানো যাবে না। তাই আমরা ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলে এসেছি। কমিশনের কর্তারা জানান, এখনও ভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি।
বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, পুরভোটের জন্য বিজেপি সাংগঠনিক দিক থেকে প্রস্তুত নয় বলে তারা ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করছে। সেই অভিযোগ খারিজ করে মুকুল বলেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। যখনই ভোট হোক, আমরা তৈরি। কিন্তু ১২ এপ্রিল ভোট হলে কোনও রাজনৈতিক দলই প্রচারের জন্য বেশি সময় পাবে না। তার জন্যই আমরা ভোট পরে করতে বলেছি।
বিজেপি ভোট পেছানোর দাবি করলেও অন্য সব দল তাতে সায় দিচ্ছে না। শাসকদলের মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জি বলেন, আজ বাদে কাল ভোট হলেও আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমরা প্রস্তুত এবং দুই কর্পোরেশনে জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। দলের আর এক প্রবীণ নেতা এবং মন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জি বলেন, এই বিজেপি নেতারাই দু’দিন আগে বলেছিলেন, আমরা ভোটের জন্য প্রস্তুত। এখন তাঁরাই ভোট পিছিয়ে দিতে বলছেন। আসলে বিজেপি ভয় পেয়েছে। বিরোধী দলগুলি সব আসনে প্রার্থী দিলেও তৃণমূল্কে হারাতে পারবে না। কলকাতা এবং হাওড়ার মানুষ উন্নয়ন দেখেই তৃণমূলকে ভোট দেবে। সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা সব পুরসভায় একদিনেই ভোট চাই। তা না হলে শাসকদলের মস্তানরা এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় গিয়ে ভোট লুঠ করবে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও বলেন, আমরা সর্বত্র একদিনে ভোট চাই, যাতে বাহুবলীরা ভোট ছিনতাই করতে না পারে।
Comments are closed.