সংবাদমাধ্যমে দলবিরোধী এবং মর্যাদাহানিকর মন্তব্য করেছেন। দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে শো-কজ নোটিস পাঠাল রাজ্য বিজেপি! বিজেপি সূত্রে খবর, সায়ন্তন ছাড়াও উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটার এক মণ্ডল সভাপতি এবং আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতিকেও শো-কজ করা হয়েছে।সায়ন্তনকে পাঠানো শো-কজ নোটিসে বলা হয়েছে গত ১৮ ডিসেম্বর ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সামনে দলবিরোধী এবং মর্যাদাহানিকর মন্তব্য করেছেন তিনি। ওই কাজের জন্য কেন তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে না, তা নিয়ে সাতদিনের মধ্যে জবাব তলব করেছে দল। কিন্তু কোন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এই শো-কজ তা উল্লেখ করা হয়নি চিঠিতে।
তবে রাজ্য বিজেপির অন্দরে শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারির দলত্যাগের ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলাতেই এই শাস্তি! ঠিক কী বলেছিলেন সায়ন্তন?
তিনি বলেছিলেন, আসানসোলে নিজের ক্ষমতাতেই বিজেপি দু’ বার জিতেছে। লোকসভা নির্বাচনেও জিতেন্দ্রর জেলার সমস্ত বিধানসভায় বিজেপি এগিয়ে। তাঁর বিরুদ্ধেই মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। তাই জিতেন্দ্রকে বিজেপিতে নেওয়া ঠিক হবে না।
উল্লেখ্য, তৃণমূল থেকে ইস্তফা দিলেও বিজেপিতে যোগদানের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান জিতেন্দ্র। কিন্তু এর মধ্যে আগেভাগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে জিতেন্দ্রকে বিজেপিতে না নেওয়ার আবেদন করে বসেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলের পাশে দাঁড়িয়ে আবার জিতেন্দ্রকে নিয়ে মন্তব্য করেন বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল ও রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তার প্রেক্ষিতেই সায়ন্তনকে নোটিস বলে খবর। এদিকে জিতেন্দ্রর বিজেপিতে যোগদানের বিরোধিতা করেছিলেন দিলীপ ঘোষও। কিন্তু তাঁদের কোনও শাস্তি দেওয়া হয়নি। মনে করা হচ্ছে সায়ন্তনকে শাস্তি দিয়ে আসলে বাবুল, দিলীপ এবং অগ্নিমিত্রাকেও বার্তা দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সংশ্লিষ্ট শো-কজ চিঠিতে দিলীপকে দিয়ে ওই নির্দেশ দেওয়ানোর প্রেক্ষিতে এই উদ্দেশ্যই আছে বলে মনে করছে রাজ্য বিজেপির একাংশ।
এদিকে এই চিঠি প্রসঙ্গে সায়ন্তনের প্রতিক্রিয়া, আমি দলের একনিষ্ঠ কর্মী। তাড়াতাড়িই চিঠির উত্তর দেব।
Comments are closed.