গত মঙ্গলবার দিল্লির জেএনইউ ক্যাম্পাসে অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোনের আন্দোলনরত আক্রান্ত ঐশী ঘোষ-সহ বামপন্থী ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বিজেপি নেতাদের একাংশ দীপিকার সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি ‘ছপক’ বয়কটের ডাক দিয়েছে। এবার এই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করলেন মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা গোপাল ভার্গব।
শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সিএএ’র সমর্থনে এক প্রচার রাজ্যের প্রাক্তন এই মন্ত্রী বলেন, অভিনেত্রীদের উচিত মুম্বইয়ে থেকে শুধু নাচের মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখা। দীপিকার জেএনইউ যাওয়া প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কী দরকার ছিল তাঁর ওখানে যাওয়ার? অনেক শিল্পী এবং প্রতিবাদী মানুষ এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি করছেন। উচ্চশিক্ষার কেন্দ্রগুলি পড়াশোনার জায়গা, রাজনীতির জায়গা নয়।
কংগ্রেস পাল্টা প্রশ্ন তুলে বলেছে, তিনি স্মৃতি ইরানি, হেমা মালিনী, কিরণ খেরের মতো বিজেপি নেত্রীদের সম্পর্কেও কি এই একই কথাই বলবেন? কংগ্রেস নেতারা বিজেপি নেতাকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশে বিজেপি’র সরকার থাকাকালীন লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে হেমা মালিনী এবং তাঁর মেয়ের নাচের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হত।
দুদিন আগে অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে নরেন্দ্র জিন্না বলেছিলেন। শুক্রবার তার পাল্টা দিয়েছেন বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী।তিনি রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে, রাহুল জিন্না এবং প্রিয়াঙ্কা জিন্না বলে ব্যঙ্গ করে বলেন, কংগ্রেস যতক্ষণ না সিএএ নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো বন্ধ করছে ততক্ষণ আমিও রাহুলকে রাহুল জিন্না এবং প্রিয়াঙ্কাকে প্রিয়াঙ্কা জিন্নাই বলে যাব। পাশাপাশি সাভারকারের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেছেন, কংগ্রেস যেমন সাভারকরের ইতিহাসের কথা বলে, তেমনই ইতিহাস থেকে জানা যায়, সোনিয়া গান্ধীর বাবা মুসোলিনির এক সহযোগী ছিলেন। উমার কথায়, এই ইতিহাস জানার পরও বিজেপি কখনও সোনিয়া গান্ধীকে দেশ ছেড়ে যাওয়ার কথা বলেনি বা তাঁর মধ্যেও এই একনায়কতন্ত্রের মানসিকতা আছে কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়নি। তাহলে কেন বিজেপি মুসলিমদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলছে বলে কংগ্রেস ভুল প্রচার করছে?
Comments are closed.