CAA: মতুয়ারা অধিকার আদায় করে নেবে, বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে ঘোষণা শান্তনু ঠাকুরের, কী বার্তা দেবেন মমতা?
কয়েক মাস পরেই রাজ্য বিধানসভা ভোট। এই প্রেক্ষিতে নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশ জায়গা করে নিচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে। কেন্দ্রের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রবিবার নিজের দলকেই বিঁধেছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি শান্তনু ঠাকুর। মতুয়া মহাসঙ্ঘের নতুন কমিটি গঠন উপলক্ষ্যে ঠাকুরনগর থেকে শান্তনুর তোপ, নাগরিকত্ব নিয়ে ভিক্ষা চাইতে হচ্ছে। কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, তৃণমূল এমনকী বিজেপি, কেউ তাঁদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখেনি।
কয়েকদিন আগেই উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে সভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে তিনি বলেন, এক বছরের মধ্যে সিএএ এর মাধ্যমে সবাইকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, সেই সভায় ছিলেন না বনগাঁর বিজেপি সাংসদ।
রবিবার শান্তনু ঠাকুর মন্তব্য, এত দেরি হলে আমাদের আর তার দরকার নেই। পরবর্তীকালে এমনিই আমরা নাগরিকত্ব পাব। অধিকার বুঝে নেওয়ার ডাক দিয়ে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় তিন কোটি মতুয়া মানুষের বাস। কিন্তু তাঁরা সবাই এখানে কেন উপেক্ষিত সেই প্রশ্ন তোলেন বিজেপি সাংসদ। উপস্থিত মতু্যা ভক্তদের কাছে বিজেপির সাংসদের প্রশ্ন, ‘কোন সরকারের কাছে জবাব চাইবেন? কোনও সরকার তার জবাব দেবে না। এই সরকার আসবে ওই সরকার যাবে। জাতিগত দিক দিয়ে কত দিন বিভাজিত করে রাখা হবে মতুয়াদের?’ রাজনৈতিক মহলের মতে, এই অসন্তোষের সুযোগ নেবে তৃণমূল। কিন্তু কীভাবে?
এই আবহে আগামী ৯ ডিসেম্বর গোপালনগরে সভা মমতার। সেখান থেকে তৃণমূল নেত্রী কী বার্তা দেন সেটাই এখন দেখার।
Comments are closed.