#BoisLockerRoom: অশ্লীল চ্যাটকাণ্ডে জড়িত ছাত্রদের গ্রেফতারির দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা, সিবিআই বা সিট তদন্তের আবেদন
Bois Locker Room কাণ্ডে জড়িত প্রত্যেক ছাত্রকে গ্রেফতারের দাবিতে রিট পিটিশন দায়ের হল দিল্লি হাইকোর্টে। আবেদনকারীর দাবি, সিবিআই অথবা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠন করে এই ঘটনার তদন্ত করতে হবে।
সম্প্রতি দক্ষিণ দিল্লির কিছু অভিজাত স্কুলের ছাত্রদের একটি গোপন ইনস্টাগ্রাম গ্রুপে মহিলাদের গণধর্ষণ করা, ধর্ষণে ইন্ধন দেওয়া, নানা অশ্লীল আলোচনা এবং অশালীন ছবি চালাচালির ঘটনা সামনে এসেছে। ১৫-১৬ বছরের স্কুল পড়ুয়ারা কীভাবে এমন অশ্লীল ও কুরুচিকর আলোচনা করতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি ওই স্কুল পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রেক্ষিতে জনৈক দেবাশিস দুবের হয়ে আইনজীবী ওমপ্রকাশ পরিহার ও আইনজীবী দুষ্মন্ত তিওয়ারি একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছেন দিল্লি হাইকোর্টে।
বয়েজ লকার রুম কাণ্ডে দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছেন পুলিশের কাছে। ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষকেও নোটিস পাঠানো হয়েছে। দিল্লি পুলিশও তদন্ত করছে।
যদিও মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, এই তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআই অথবা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের উপর। আবেদনকারী জানান, যেহেতু জড়িতরা দিল্লির সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান তাই, পুলিশের তদন্তপ্রক্রিয়া প্রভাবিত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা।
পিটিশনে এও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ইনস্টা গ্রুপের অশ্লীল আলোচনা প্রকাশ্যে আসার পর ওই অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যে মহিলা তাদের এই কর্মকাণ্ড ফাঁস করে দেন তাঁর সুপার ইমপোজ করা কুরুচিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যদি কড়া আইনি পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, ওই মহিলার নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে আর্জি জানানো হয়েছে পিটিশনে। তাছাড়া অভিযুক্ত পড়ুয়ারা সাইবার আইনের একাধিক আইন ভেঙেছে। পিটিশনে বলা হয়, মহিলাদের প্রতি এই তরুণ ও কিশোরদের চিন্তাভাবনাকে যদি প্রশ্রয় দেওয়া হয়, তারা যদি শাস্তি না পায়, তরুণ প্রজন্মের কাছে ভুল বার্তা যাবে। অপরাধীদের আইনত শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে বহু মহিলা এই ধরনের দুষ্কর্মের শিকার হবেন।
Comments are closed.