কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে হয়, তা শেখাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। আর সেটাই তাদের প্রতিবাদের স্বরকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসার প্রতিবাদে তরুণ প্রজন্মের প্রতিবাদ আন্দোলন প্রসঙ্গে এই মন্তব্য বম্বে হাইকোর্টের।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উইকম ট্রাস্টের দায়ের করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার শুনানি চলছিল বম্বে হাইকোর্টের এস সি ধর্মাধিকারী এবং আর আই চাগলার ডিভিশন বেঞ্চে। উইকম ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে আদালতের কাছে জানতে চেয়েছিল, মুম্বইয়ের দাদারে শিবাজি পার্ক কি একটি খেলার মাঠ নাকি তা মনোরঞ্জন কিংবা অন্য কাজের জন্যও ব্যবহার হতে পারে? ট্রাস্টের দাবি, মাঠ খেলাধুলো বাদে অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত নয়। বম্বে হাইকোর্ট জানায় সরকার, সরকার পোষিত ট্রাস্ট যদি মনে করে মাঠটি খেলা ভিন্ন অন্য কাজেও ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া যায়, তাহলে আদালত তাতে কেন নাক গলাতে যাবে? পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, মানুষ যেন এটা ভেবে ভুল না করেন যে আদালত পাহারাদার হিসেবে কাজ করবে।
শুনানিতে বিচারপতি ধর্মাধিকারী বলেন, ইদানীং সমাজের দায়িত্ববান সদস্যরা অনেকে মিলে জমায়েত হয়ে শান্তিপূর্ণ পথে প্রতিবাদ করা শুরু করেছেন। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন এভাবে তাদের প্রতিবাদের স্বর আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এরপরই বিচারপতি বলেন, আজকের তরুণ প্রজন্ম আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে এই ব্যাপারটি বুঝিয়ে দিচ্ছে। বড়দের এটা দেখে বোঝা উচিত।
Comments are closed.