করোনা সংক্রমিতকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে হবে, এই দাবিতে মামলাকারীকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করল বম্বে হাইকোর্ট
‘একেবারে ছেলেমানুষি জনস্বার্থ মামলা,’ করোনা সংক্রমিত মহারাষ্ট্রের প্রতিটি ব্যক্তিকে বিনামূল্যে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার মামলা খারিজ করে পিটিশনকারীকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করল বম্বে হাইকোর্ট।
ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে উদ্ধব ঠাকরে সরকার চালিত মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি। এই প্রেক্ষিতে জনৈক শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী সাগর জোন্ধালে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। তাতে বছর বিয়াল্লিশের সমাজকর্মীর দাবি ছিল, কোভিড-১৯ সংক্রমিত প্রতিটি মানুষের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার দায়িত্ব বহন করতে হবে মহারাষ্ট্র সরকারকে। তাঁর অভিযোগ ছিল, বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার যে খরচ চাওয়া হচ্ছে তা সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরে। তাই সেখানেও বিনামূল্যে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা দিতে হবে। মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমিতের সেবার খরচের ভার রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। আনন্দ জোন্ধালের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, এই সংকটের সময় সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ এই সরকার।
এই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি কে কে তাটেদের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, পিটিশনারের এই আবেদন ‘অসঙ্গত’ এবং করোনা পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র সরকার যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তা যথাযথ। আদালত জানায়, মহারাষ্ট্রের সরকারি হাসপাতালগুলিতে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। একমাত্র বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের পয়সা খরচ করতে হচ্ছে। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর তো বাধ্যবাধকতা নেই। রোগীরা নিজেদের ইচ্ছেয় সেখানে ভর্তি হচ্ছেন।
পিটিশনকারী সাগর জোন্ধালের জনস্বার্থ মামলাকে ছেলেমানুষির মতো বলে মন্তব্য করে তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করে বম্বে হাইকোর্ট। আগামী এক মাসের মধ্যে ওই টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্ট জানায়, জোন্ধালের এই জরিমানার টাকা করোনা সংক্রমিতের চিকিৎসায় ব্যয় করবে মহারাষ্ট্র সরকার। এক মাসের মধ্যে এই টাকা না দিলে রাজ্য সরকার জমির কর হিসেবে ওই টাকা আদায় করতে পারবে বলে জানায় বম্বে হাইকোর্ট।
Comments are closed.