বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চালু ‘ফিটাল মেডিসিন’ পরিষেবা, প্রসূতিদের সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থা
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চালু হল ফিটাল মেডিসিন পরিষেবা। এই পরিষেবার মাধ্যমে ফিটাল আল্ট্রাসাউন্ডের সাহায্যে ১৮ থেকে ২০ সপ্তাহেই ভ্রূণের হৃদপিন্ডের ছবি পাওয়া যাবে। এছাড়া ডাউন সিনড্রোমের জটিল রোগ চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। আগে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সুবিধা না থাকায় টাকা খরচ করে বেসরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষা করতে হত। অনেকে কলকাতার সরকারি হাসপাতালে চলে আসতেন এই পরীক্ষা করতে। কিন্তু এবার কলকাতায় না গিয়েও বর্ধমানে থেকেই এই চিকিৎসা করাতে পারবেন প্রসূতিরা।
এই বিষয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, একদিকে বেশি বয়সে মা হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে, আবার অনেক সময় নাবালিকারাও মা হচ্ছেন। এইসব ক্ষেত্রে প্রসূতিদের চারটি পরীক্ষা করানোর সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে এখানে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলির ওপর চাপ কমাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে বর্ধমানে এই আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে ১৫% প্রসূতির বয়স ৩২ এর বেশি। ৭ থেকে ৮% প্রসূতির বয়স ২১ বছরের নীচে। এই ধরণের ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রূণের স্বাস্থ্যের গঠন ঠিকমতো হচ্ছে কিনা জানার জন্য় ফিটাল মেডিসিন বিভাগ চালু হয়েছে।
Comments are closed.