বিহারের বক্সার জেলার জেল কর্তৃপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে ১০ টি ফাঁসির দড়ি (hanging ropes) মজুত করতে বলা হয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে পাওয়া গিয়েছে এই খবর। নির্ভয়া মামলায় দোষীদের ফাঁসি দেওয়া হবে কি? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
বক্সার সেন্ট্রাল জেল। দীর্ঘদিন ধরেই ফাঁসির দড়ি বা ম্যানিলা রোপ তৈরিতে সিদ্ধহস্ত এখানে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরা। আফজল গুরুর ফাঁসির সময়ও এই জেল থেকেই দড়ি গিয়েছিল। জেল সুপার বিজয়কুমার অরোরা জানিয়েছেন, তিনি সিনিয়রদের কাছ থেকে এই সপ্তাহের মধ্যে ১০ টি ফাঁসির দড়ি তৈরি করার নির্দেশ পেয়েছেন। সেই অনুযায়ী নাওয়া খাওয়া ভুলে ফাঁসির দড়ি তৈরিতে ব্যস্ত তাঁরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে নির্ভয়া গণধর্ষণ এবং খুনের মামলায় দোষীদের ক্ষমাপ্রার্থনা যেন রাষ্ট্রপতি মঞ্জুর না করেন সেকথা বলা হয়েছে। ফলে জল্পনা তৈরি হয়েছে নির্ভয় মামলায় দোষী ৪ জনকে ফাঁসি দেওয়া নিয়ে।
বক্সার জেল সূত্রের খবর, একটি ফাঁসির দড়ি (hanging ropes) তৈরি করতে ৭ জন বন্দির অন্তত ৩ দিন সময় লাগে। ২০১৩ সালে আফজল গুরুকে যে দড়িতে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল তার জন্য খরচ হয়েছিল ১৭২৫ টাকা। এখন তার খরচ আরও কিছুটা বেড়েছে। ফাঁসির দড়ি তৈরির ক্ষেত্রে নজর রাখা হয়, দড়িটি যেন যাকে ফাঁসি দেওয়া হবে, তার উচ্চতার অন্তত ১.৬ গুণ হয়। এজন্য রশি সরবরাহ করেন গয়ার বস্ত্র কারবারিরা। ২০০৪ সালে ধনঞ্জয়কেও বক্সার জেলের তৈরি ফাঁসির দড়িতেই ফাঁসি দিয়েছিলেন নাটা মল্লিক।
Comments are closed.