উট বলতেই বাঙালির স্মৃতিতে বারবার ঘুরে ফিরে আসে সত্যজিৎ রায়ের সোনার কেল্লা’র নানা মুহূর্ত। কখনও উটের কুঁজ নিয়ে লালমোহন গাঙ্গুলি ওরফে জটায়ুর ভুল ধারণা ভেঙে যাচ্ছে ফেলুদার কথায়, তো কখনও জয়সলমীর যাওয়ার পথে গাড়ি বিকল হওয়ার পর উটের পিঠে সওয়ার হওয়া। কিংবা সেই দৃশ্য, যেখানে যোধপুর যাওয়ার পথে ট্রেন থেকে কিষণগড় স্টেশনে নেমে চা খাওয়া। চা খেয়ে ফেলুদা বলল, উটের দুধের চা। উটের দুধ শুনেই জটায়ু পর পর দু’কাপ চা খেয়ে নিলেন।
উটের দুধের চা! হ্যাঁ, সেই দিন বেশি দূরে নয়, যখন কলকাতা বা এরাজ্যের যে কোনও প্রান্তে বসেই আপনি উটের দুধের চা খেতে পারবেন। কারণ, ভারতের বাজারে এবার উটের দুধ নিয়ে আসছে দেশের প্রথম সারির দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থা আমুল। সম্প্রতি আমুলের নিয়ন্ত্রক দ্য গুজরাত কোঅপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন লিমিটেডের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
আমুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে গুজরাতের আহমেদাবাদ, গান্ধীনগর ও কচ্ছের বাজারে আমুল ক্যামেল মিল্ক ব্র্যান্ড নামে এই দুধ আনা হচ্ছে। ৫০০ মিলিলিটারের বোতলে পাওয়া যাবে উটের দুধ। দাম পড়বে ৫০ টাকা। আমুলের দাবি, উটের দুধ সহজ পাচ্য ও স্বাস্থ্যকর। বিশেষত ইনস্যুলিন জাতীয় এক বিশেষ প্রোটিন থাকে উটের দুধে, যা ডায়াবেটিক রোগীদের পক্ষে ভাল। অ্যালার্জির জন্য যাঁরা গরুর দুধ খেতে পারেন না, অ্যালার্জেন্স না থাকায় তাঁরাও উটের দুধ খেতে পারবেন বলে দাবি আমুলের।
উটের দুধ এই প্রথম বাজারে আনলেও এর আগে গত বছরে উটের দুধের তৈরি চকোলেট বাজারে নিয়ে এসেছে আমুল। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, উটের দুধের চকোলেট যথেষ্ট সাড়া ফেলেছ দেশের বাজারে। উটের দুধ আরও সাফল্য পাবে বলেই আশাবাদী আমুল কর্তৃপক্ষ। আপাতত, গুজরাতের কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় উটের দুধ মিললেও, কয়েক মাসের মধ্যেই সারা দেশে তা পাওয়া যাবে।
Comments are closed.