দিনে ৫ টাকা প্রিমিয়াম, ১০ লক্ষ টাকার নিশ্চয়তা! জেনে নিন ক্যান্সার পলিসির নানা সুবিধা
জেনে নিন ক্যান্সার পলিসি
অতিমারি পরিস্থিতিতে সবাই অধীর আগ্রহে চেয়েছিল কবে আসবে করোনা ভ্যাকসিন। সেই প্রতীক্ষা শেষ। কিন্তু কর্কট রোগের কোনও টিকা আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। বরং সারা বিশ্বে উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ১৫ শতাংশ হারে ক্যান্সার রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারতে। আর কারও ক্যান্সার হলে শুধু শরীরই নয় অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হন তিনি। কর্কট রোগের মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসায় চাপ পড়ে পুরো পরিবারের ওপর। কিন্তু জানেন কি প্রতিদিন মাত্র ৫ টাকা প্রিমিয়ামেই পেতে পারেন ১০ লক্ষ টাকার নিশ্চয়তা?
যে কোনও ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসায় ন্যূনতম ব্যয় হয় ৫ লক্ষ টাকা। সর্বোচ্চ খরচ পৌঁছতে পারে ৬০ লক্ষ টাকায়। আবার ক্যানসারের রকম অনুযায়ীও চিকিৎসার খরচে তারতম্য হতে পারে। যেমন, লাং ক্যানসার চিকিৎসা করাতে গেলে ন্যূনতম খরচই হয় ৩০ লক্ষ টাকা। এখন এই চিকিৎসার খরচ জোগাতে মধ্যবিত্ত তো বটেই বিত্তশালী পরিবারকেও বেগ পেতে হয়। এখানে বড় ভরসার জায়গা হতে পারে ক্যান্সারের স্বাস্থ্যবিমা।
চিকিৎসার খরচ থেকে দূর দূরান্তে গিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি হতে গেলেও পাওয়া যেতে পারে স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা। বছরে ২০০০ টাকা খরচ করে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কভার পাওয়া যায় ক্যান্সার পলিসিতে। অর্থাৎ, দিনে মাত্র পাঁচ টাকা খরচেই ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য অসুখের চিকিৎসা করানো যাবে।
বুঝুন ক্যান্সার পলিসি
ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড এবং ফোর্থ, ক্যান্সারের এই চারটি স্টেজ। এখন ক্যান্সার পলিসি থাকলে ফার্স্ট ও সেকেন্ড স্টেজেই ১০ লক্ষ টাকার ৪০ শতাংশ বা প্রায় চার লক্ষ টাকা সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যাবে রোগীর পরিবার। শুধু তাই নয়, ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার যাবতীয় খরচ দেবে ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
এই চিকিৎসার পর রোগী সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর দুটো জিনিসের সম্ভাবনা থাকে। এক, রোগীর দ্বিতীয়বার আর ক্যানসার হল না অথবা দুই, ফের থার্ড বা ফোর্থ স্টেজে ক্যানসার ফিরল। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে আবার ১০ লক্ষ টাকার বাকি ৬০ শতাংশ বা ৬ লক্ষ টাকা পেয়ে যাবে রোগীর পরিবার। কিন্তু তারপর রোগীর মৃত্যু হলেও তাঁর পরিবার ইনস্যুরেন্স কোম্পানির কাছ থেকে ওই পরিমাণ টাকা পাবেন। অর্থাৎ, দিনে পাঁচ টাকা জমা করলেই পাওয়া যাবে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুরক্ষা।
প্রাপ্তবয়স্ক হলেই ক্যান্সার পলিসি করা যায়। বয়স যত কম হবে, পলিসির প্রিমিয়াম তত কম হবে। তাছাড়া লাইফ লং কভারেজ পাওয়া যাবে ক্যান্সার পলিসিতে। অর্থাৎ, একবার ক্যান্সারের চিকিৎসায় ইনস্যুরেন্স কোম্পানি কভার দিল পরে আবার ওই রোগে আক্রান্ত হলে কভারেজ মিলবে না, এমনটা নয়। ক্যান্সার হয়ে গেলেও রিনিউ করা যাবে পলিসি। বলে রাখা প্রয়োজন ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ক্যান্সার পলিসি করা যায় না।
মহিলাদের ক্যান্সার পলিসির প্রিমিয়াম পুরুষদের থেকে বেশি
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পুরুষদের থেকে মহিলারা বেশি কর্কট রোগে আক্রান্ত হন। বিশেষত ব্রেস্ট ক্যানসারে এখন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোগী এই ভারতে, তারপরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। তাই পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের ক্যানসার পলিসিতে প্রিমিয়াম বেশি।
(লেখক বিশিষ্ট ফিনান্সিয়াল প্ল্যানার। বিমা বা বিনিয়োগ সংক্রান্ত যে কোনও পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করুন: 98363 74487, 98356 66559, [email protected])
Comments are closed.