ক্ষোভ এবং সরকারি হস্তক্ষেপে পিছু হঠল সিইএসসি, শুধু জুনের বিল জমা করলেই চলবে, কলকাতার জয় বললেন অভিষেক
কলকাতা এবং শহরতলির লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের ক্ষোভ-বিক্ষোভ এবং সরকারি হস্তক্ষেপে কিছুটা হলেও পিছু হঠল সিইএসসি (CESC)। গত দু’মাসের বকেয়া বিদ্যুতের ইউনিটের টাকা আপাতত মেটাতে হচ্ছে না গ্রাহকদেরর। পরিবর্তে কেবল জুন মাসে ব্যবহার করা বিদ্যুতের বিল মেটালেই চলবে। রবিবার এমনটাই জানাল সিইএসসি কর্তৃপক্ষ। কলকাতা ও শহরতলির বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার তরফে এই ঘোষণাকে ‘কলকাতার জয়’ বলে অভিহিত করলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি।
জুলাই মাসে সিইএসসি-র পাঠানো বিদ্যুতের বিল দেখে মাথায় হাত পড়েছিল কলকাতাবাসীর। কারও বিল এসেছে ১০ হাজার তো কারও ২০ হাজার টাকা। সাধারণ মধ্যবিত্ত থেকে ফিল্মস্টার এমনকী এই বিভ্রাট থেকে রেহাই পাননি রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীও! একে লকডাউনের জেরে মানুষের কাজকর্মে প্রভাব পড়েছে। তার উপর বিদ্যুতের বিলের এই বহর দেখে চোখ কপালে উঠেছিল কলকাতা ও শহর সংলগ্ন এলাকার মানুষের। শুরু হয় বিক্ষোভ। এ নিয়ে CESC’র সঙ্গে আলোচনা করে রাজ্য সরকার। শনিবার অ্যাডভাইজরিও জারি হয়। তারপরেই রবিবার সিইএসসি জানাল, এপ্রিল ও মে মাসের ‘অনাদায়ী বিল’ জমা দিতে হবে না গ্রাহকদের। আপাতত জুন মাসের বিদ্যুৎ বিল জমা দিলেই চলবে।
তবে শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রেই এই ছাড় মিলছে না বলে সূত্রের খবর।
এদিকে বেসরকারি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার এই সিদ্ধান্তকে ‘কলকাতার জয়’ বলে অভিহিত করেছেন যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি। রবিবার এক ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘কলকাতার মোট ৩৩ লক্ষ গ্রাহকের মধ্যে ২৫.৫ লক্ষ গ্রাহকের ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সিইএসসি। এখন, শুধু জুন মাসের প্রকৃত বিদ্যুৎ খরচের বিল জমা দিতে হবে। এপ্রিল এবং মে মাসের বিল বাবদ যে অঙ্ক জুনের বিলে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল, তা স্থগিত করা হয়েছে। বিল জমা দেওয়ার সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। ট্যুইটের শেষে তিনি লেখেন, ‘কলকাতার জয়!’
তবে এর মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, যাঁরা ইতিমধ্যে ওই দু’মাসের বিল মিটিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের থেকে নেওয়া বাড়তি টাকা কীভাবে ফেরত দেওয়া হবে? অথবা সেই টাকা পরের বিল থেকে বাদ দেওয়া হবে কি? সে সম্পর্কে কিছুই জানায়নি সিইএসসি।
Comments are closed.