২০০৮ সালে ভারত-চিন চুক্তি নিয়ে সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা সুপ্রিম কোর্টে, সিবিআই বা এনআইএ দিয়ে তদন্তের আর্জি
ভারত-চিন দ্বন্দ্বের আবহে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ঠিক তখনই চিন ইস্যু নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ও সাংসদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। অভিযোগ, ২০০৮ সালে কংগ্রেস ও চিনের কমিউনিস্ট পার্টি উচ্চপর্যায়ের তথ্য আদান-প্রদান করেছে এবং নিজেদের মধ্যে ‘বোঝাপড়া’ করে। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) বা সিবিআইকে (CBI) দিয়ে এই চুক্তির তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আইনজীবী শশাঙ্ক শেখর ঝা ও গোয়া ক্রনিকলের এডিটর ইন চিফ সাভায়ো রড্রিগিউজ।
সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া পিটিশনে তাঁদের দাবি, ভারত ও চিনের প্রতিকূল সম্পর্কের মধ্যেও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। কিন্তু সেই চুক্তির কথা এতদিন ধরে দেশবাসীর কাছে গোপন রেখে এসেছে কংগ্রেস। জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়েছে, পিটিশনকারীরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থ নিয়ে লুকোছাপা বা আপোষ করা যায় না এবং উচিতও নয়। তাই সংবিধানের ৩২ নন্বর অনুচ্ছেদ মেনে কংগ্রেস ও চিনের কমিউনিস্ট পার্টি তথা চিন সরকারের এই চুক্তির কথা প্রকাশ্যে আনা হোক।
কিন্তু কী এই চুক্তি?
পিটিশনকারীরা ২০০৮ সালের ৭ অগাস্ট বেজিংয়ে হওয়া এক মউ চুক্তি স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁদের দাবি, কংগ্রেস ও চিনের কমিউনিস্ট সরকারের মধ্যে ওই চুক্তিতে দেশের নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়ে চিনকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে চিনের কমিউনিস্ট সরকার ও ভারতের কংগ্রেস দল দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক তথ্য আদান-প্রদানের সুবিধা পায় এবং নিজেদের মধ্যে কিছু সমঝোতা করে বলে অভিযোগ পিটিশনকারীদের।
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ও প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী দেশের স্বার্থে এই চুক্তির বিশদ তথ্য দিন, এমনটাই দাবি করা হয়েছে এই জনস্বার্থ মামলায়। সেই সঙ্গে নিরপেক্ষ ও নিশ্ছিদ্র তদন্তের স্বার্থে এনআইএ বা সিবিআইকে দিয়ে এই চুক্তির তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আবেদনকারীরা।
Comments are closed.