গত ২৯ শে সেপ্টেম্বর ছিল তাপস পালের জন্মদিন। কিন্তু গত দুবছর আগে মাত্র ৬১ বছর বয়সে অকালে চলে যান এই অভিনেতা। তার মৃত্যুর পর সামনে এসে দাঁড়ায় বহু প্রশ্ন। এই অভিনেতা – সাংসদ জীবনে বহুবার বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু আজও তার শিল্পীসত্তাকে সম্মান জানায় প্রতিটা বাঙালি। অকালে এই প্রতিভার চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারেননি তার ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনো ঘুরে ফিরে আসে তার জীবনের নানা কাজের অংশ। এবার তাপস পালের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন একসময়ের তার সহকর্মী তথা অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।
চিরঞ্জিতের বক্তব্য তাদের সময় সব থেকে বিখ্যাত ও জনপ্রিয় সুপারস্টার ছিলেন তাপস। চিরঞ্জিত মনে করেন তাপসের এই অকাল প্রয়াণের জন্য তাপস নিজেও কিছুটা দায়ী। এছাড়াও ভাগ্যের প্রভাবকেও তিনি দূরে রাখতে পারেননি। চিরঞ্জিত মনে করেন রাজনীতি তাপসের জন্য সঠিক জায়গা ছিল না। রাজনীতিতে পদার্পণ করার পর তাপসের প্রতিভা ও ভাবমূর্তি ভীষণভাবে ধাক্কা খেয়েছিল বলে মন্তব্য চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর। পুরনো দিনের স্মৃতি হাতরাতে গিয়ে চিরঞ্জিত বলেন, তাপস ছিল খুবই সহজ সরল। ও যে মন্তব্যটা করেছিল সেটা যদি ও পাকা মনের হতো তাহলে কখনোই করত না। বন্ধুর দুর্ভাগ্যের জন্য যে এখনো তিনি হতাশায় ভোগেন তা স্পষ্ট চিরঞ্জিতের মন্তব্য থেকেই।
শুধু চিরঞ্জিত নয়, তাপস পালের অসংখ্য অনুরাগী মনে করেন যে রাজনীতিতে পদার্পণ তাপসের একটি বড় ভুল ছিল। দাদার কীর্তি দিয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করা তাপস “সাহেব,” “ভালোবাসা ভালোবাসা,” “গুরুদক্ষিণা,” “অনুরাগের ছোঁয়া” প্রভৃতি ছবি দিয়ে বাংলার দর্শকদের মনে গেঁথে যান। সেইসব ছবি মুক্তির এতদিন পরেও বাংলাবাসী আজও মনে রেখেছেন দাদার কীর্তির কেদারের সেই মিষ্টি হাসিকে। মানুষ চলে যায়, কিন্তু তার কাজ থেকে যায় এই পৃথিবীর বুকে। তাপস পাল হয়তো বিদায় নিয়েছেন চিরদিনের জন্য, কিন্তু তার অমর সৃষ্টি রয়ে গেছে বাংলার সংস্কৃতি ও মননের সাথে।
Comments are closed.