বিজেপির টার্গেট বাংলার মানুষকে বাংলা থেকে তাড়িয়ে, বাংলাকে গুজরাত বানানো। আমাকে বলুন তো আরএসএস মতুয়াকে শেখাবে কোনটা ধর্ম! আরএসএসের কাছে আমাকে বিবেকানন্দ শিখতে হবে? আমাকে হিন্দু ধর্ম শেখাবে তুমি কোন হরিদাস?
ঠিক এই ভাষাতেই বনগাঁর গোপালনগরের সভা থেকে বিজেপিকে বিঁধলেন মমতা ব্যানার্জি। বললেন, আমি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আপনার বলছি, মতুয়ারা সবাই নাগরিক। এজন্য কারও সার্টিফিকেটের দরকার নেই। বিজেপি পার্টি আপনাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। যারা বাংলায় থাকেন তারা বাংলার মানুষ, বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সিপিএমকে বিঁধে মমতা বলেন, সিপিএমের হার্মাদরা রাতারাতি বিজেপির ওস্তাদ হয়ে গেছে। ওদের মিথ্যে কথায় ভুলবেন না। বহিরাগতরা ভোটের আগে এসে রংবেরঙের কথা শোনাবে। তারপর হাওয়া হয়ে যাবে। মমতা বলেন, কথা দিলে আমি কথা রাখি। আমি মনে করি কথা দিয়ে কথা না রাখলে তার চেয়ে মৃত্যু ভাল।
উত্তর ২৪ পরগনায় প্রথম নির্বাচনী সভা করলেন মমতা ব্যানার্জি। গোপালনগরের সভা থেকে একদিকে মতুয়া সম্প্রদায়কে কাজের খতিয়ান দিলেন, পাশাপাশি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, সিএএ-এনআরসি করতে দেবে না তাঁর সরকার। মতুয়ারা নাগরিক। মমতা বলেন, বিজেপি আপনাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। ভোটের আগে এসে মিথ্যে ভাষণ দিয়ে বলছে সবাইকে নাগরিকত্ব দেবো। আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এখানে দাঁড়িয়ে আপনাদের বলে যাচ্ছি, মতুয়ারা সবাই নাগরিক। নতুন করে কোনও সার্টিফিকেট দেওয়ার দরকার নেই।
মমতা ব্যানার্জি দাবি করেন, তাঁর সরকার রাজ্যের সবকটি উদ্বাস্তু কলোনিকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে। পাশাপাশি বলেন, রাজ্যে কে থাকবে তা রাজ্য সরকার ঠিক করে। সিএএ-এনআরসি হবে না।
গোপালনগরের সভা থেকে মমতা মতুয়াদের জন্য কী কী কাজ করেছেন, শুরুতেই তার খতিয়ান পেশ করেন। জানিয়ে দেন, মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশীতে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি অর্থাৎ ২৬ চৈত্র (ইংরাজি ৯ এপ্রিল) তারিখে ছুটি ঘোষণা করছে রাজ্য সরকার।
Comments are closed.