প্রেমপত্র পাঠিয়েছে কমিশন! যোগী আদিত্যনাথের ‘মোদীজি সেনা’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কমিশনের পদক্ষেপকে তীব্র কটাক্ষ কংগ্রেসের

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ‘মোদীজি সেনা’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকে তীব্র কটাক্ষ কংগ্রেসের। নির্বাচনী আদর্শ বিধি ভঙ্গের দায়ে যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার বদলে তাঁকে ‘প্রেমপত্র’ পাঠিয়েছে কমিশন, বলে খোঁচা কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার।

রবিবার উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে একটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশের সেনাকে ‘মোদীজি সেনা’ বলে মন্তব্য করেন যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, কংগ্রেস যেখানে জঙ্গিদের বিরিয়ানি পরিবেশন করে, সেখানে ‘মোদীজির সেনা’ জঙ্গিদের বুলেট আর বোমা ছোঁড়ে। এরপরই বিরোধীরা অভিযোগ করেন, আদিত্যনাথের এই মন্তব্য ভারতীয় সেনার অপমান। সেনা কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে না। কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি যোগীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভাঙার অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়।
সূত্রের খবর, শুক্রবার যোগী আদিত্যনাথকে সতর্ক করে নির্বাচন কমিশন। ভবিষ্যতে এই ধরনের মন্তব্য করার আগে তাঁর সতর্ক থাকা উচিত বলেও আদিত্যনাথকে জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় খুশি নয় কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, যোগীর বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ করা উচিত ছিল নির্বাচন কমিশনের। শনিবার কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার কমিশনকে কটাক্ষ করে ট্যুইট, দেশের সেনাকে অপমান করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, আর কমিশন তাঁকে ‘প্রেমপত্র’ পাঠিয়েছে।
কংগ্রেসে ‘ন্যূনতম আয় যোজনা’র সমালোচনা করে নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়েছিলেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার। কিন্তু তাঁকেও ভবিষ্যতে এরকম মন্তব্য না করার পরামর্শ দিয়েই ছেড়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস মুখপাত্রের অভিযোগ, এমসিসি (নির্বাচনী আদর্শ বিধি) কি ‘মোদী কোড অব কন্ডাক্ট’এ পর্যবসিত হয়েছে? যারা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচনী বিধি ভাঙছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে না কমিশন, প্রশ্ন সুরজেওয়ালার।

Comments are closed.