উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে শুরু দলবদল। বিজেপিতে যোগ দিলেন কংগ্রেস নেতা জিতিন প্রসাদ। বুধবার পীযুষ গয়ালের উপস্থিতিতে তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন।
২০০৯ সালে উত্তরপ্রদেশ থেকেই কংগ্রেসের টিকিটে সাংসদ ছিলেন জিতিন প্রসাদ। কিন্তু ২০১৭ ভোটে উত্তরপ্রদেশ থেকে কংগ্রেসের টিকিটে হেরে যান তিনি। ২০১৯ লোকসভাতেও জয়ের মুখ দেখতে পারেননি প্রসাদ। ২০২১ সালে তাঁকে বাংলার দায়িত্ব দেয় এআইসিসি। জিতিনের বিজেপিতে যোগদানের পরই বাংলার কংগ্রেস নেতাদের একটি অংশ স্পষ্ট অভিযোগ করছেন, বাংলার ভোটেও আসলে বিজেপির হয়েই কাজ করেছিলেন জিতিন প্রসাদ।
এখন প্রশ্ন হল, রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে আদৌ কোনও লাভ হবে কি বিজেপির? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাংলায় অন্যদল থেকে নেতা ভাঙ্গিয়ে কোনও লাভের মুখ দেখতে পায়নি বিজেপি। উত্তরপ্রদেশে অবশ্য জাতপাতের সমীকরণকে মাথায় রেখে ব্রাহ্মণ ভোট টানার জন্য বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন জিতিন প্রসাদ। এখানেও থাকছে একটি বড় প্রশ্ন। তা হল, ব্রাহ্মণ ভোট দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে। সেক্ষেত্রে জিতিনের অন্তর্ভুক্তি আলাদা মাইলেজ দেবে বলে মনে করছে বিজেপি।
কয়েকদিন আগে কংগ্রেসের তরুণ নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
কংগ্রেস নেতা প্রয়াত কংগ্রেস নেতা জিতেন্দ্র প্রসাদের পুত্র জিতিন প্ৰসাদ। বাবার হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। এবার যোগ দিলেন বিজেপিতে।
Comments are closed.