দুইয়ের বেশি সন্তান হলে দাঁড়ানো যাবে না ভোটে, মিলবে না ভর্তুকি, সংসদে বিল আনছেন কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি
দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এ বার সংসদে বিল আনতে চলেছেন কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনুসিংঘভি। পপুলেশন কন্ট্রোল বিল, ২০২০ নামের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির প্রস্তাবিত এই বিলে দুই সন্তান নীতির উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
গত বছর শীতকালীন অধিবেশনেই এই বিল আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন এই কংগ্রেস সাংসদ। কিন্তু তখন তা আর আনা হয়ে ওঠেনি। প্রস্তাবিত এই বিলে বলা হয়েছে, এই আইন প্রযোজ্য হবে কেবলমাত্র বিবাহিত দম্পতিদের উপর। সে ক্ষেত্রে স্বামীর বয়স ২১ বছরের কম হলে হবে না। স্ত্রীর বয়স হতে হবে ১৮ বছরের উপর।
বিলের ৪ নং ধারায় জন্ম নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনে গর্ভ নিরোধক ওষুধের ব্যবহার ও ওষুধের দোকানে সেগুলির পর্যপ্ত যোগানের কথাও বলা হয়েছে। বিলে জন্মসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের উপর দুই সন্তান নীতি কড়াভাবে প্রয়োগের কথাও বলা হয়েছে। দেশের যে ১০০ টি জেলায় জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি, সেখানে ডিস্ট্রিক্ট পপুলেশন স্টেবিলাইজেশন কমিটি গড়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অভিষেকের প্রস্তাবিত এই বিলে যে দম্পতির একটিমাত্র সন্তান থাকবে এবং যাঁরা নির্বীজকরণ করাবেন তাঁদের পুরস্কৃত করার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, যারা দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকেন তাঁদের ক্ষেত্রে একটি পুত্রসন্তান থাকলে ৬০ হাজার টাকা এবং কন্যাসন্তান থাকলে ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করবে সরকার।
বিলে আরও বলা হয়েছে, কোনও দম্পতির দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে তাঁদের কোনও নির্বাচনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হবে না। বন্ধ করে দেওয়া হবে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাপ্য ভর্তুকিও। কোপ পড়বে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে পদন্নোতিতেও।
Comments are closed.